বিয়ে মানেই চিরন্তন প্রেমের গ্যারান্টি নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যেতে পারে সম্পর্কের রঙ। ব্যস্ততা, দায়বদ্ধতা, দাম্পত্যের চাপ কিংবা অভিভাবকত্বের চ্যালেঞ্জ—সব মিলিয়ে অনেক সময়ই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে তৈরি হয় অদৃশ্য দূরত্ব। সেটি হয়তো ধীরে ধীরে বাড়ে, অনুভব করাও কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এই দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব। সচেতনতা, আন্তরিকতা আর কিছু ছোট ছোট প্রয়াসের মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে আনা যায় সেই পুরোনো অনুভব, ভালোবাসা আর টান।
বিয়ের কিছু বছর পর গিয়ে মনে হতে পারে যে স্বামী–স্ত্রী পরস্পরকে আগের মতো ভালোবাসছেন না বা আগের মতো টান অনুভব করছেন না একজন আরেকজনের জন্য। এমনটা হতেই পারে। এ ধরনের সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয় না। একটু একটু করে তৈরি হয়। তাই একদিনেই এর সমাধান হবে না। বরং দুজনকে সচেষ্ট হয়ে সমাধান করতে হবে। একটু একটু করে আবার শুরুর দিনগুলোর মতো ভালোবাসা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কোয়ালিটি টাইম কাটান
একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো সম্পর্কে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন বা একটি সন্ধ্যা কেবল একে অপরের জন্য আলাদা করে রাখার অভ্যাস করুন– যেখানে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ছাড়া আর কেউ থাকবে না। এটি ডেট নাইট, বাড়িতে নিরিবিলি ডিনার, কাছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো সহজ কিছু আয়োজন রাখতে পারেন। এর অর্থ হলো একে অপরের ওপর মনোযোগ দেওয়া এবং একটি ব্যস্ত সপ্তাহের পরে কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটানো।
মন খুলে কথা বলুন
মন খুলে কথা বলতে পারলে কোনো সম্পর্কই খারাপ হতে পারে না। ভালোবাসা ম্লান হতে শুরু করে কারণ স্বামী–স্ত্রী পরস্পর মন খুলে কথা বলতে পারেন না। শুধু বলা না, সঙ্গীর কথাগুলোও আপনাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। আপনার অনুভূতি, চাহিদা এবং উদ্বেগ সবকিছু তাকে খুলে বলুন। তবে সেসব কথা বলার জন্য উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ খুঁজে নিন।
প্রতিদিন মমতা প্রকাশ করুন
ভালোবাসা এবং মায়ার ছোট ছোট কাজও বিয়ের সম্পর্ককে সুন্দর করে। উষ্ণ আলিঙ্গন, হাত ধরা, প্রশংসা, অথবা ঘন ঘন ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলার মতো অভ্যাসগুলো স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ককে ম্লান হতে দেয় না। তার দিকে সুন্দর করে তাকানো, একটু মিষ্টি করে হাসা– এ ধরনের ছোট ছোট আচরণ বড় পার্থক্য নিয়ে আসবে। বয়স বাড়লেও কমবে না আপনাদের ভালোবাসা।