পবিত্র ঈদুল আজহা শেষে কাজে ফেরার পালা। সরকারি ছুটি যদিও শেষ হয়নি, তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে শেষ হয়েছে ঈদের ছুটি। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যারা কর্মরত রয়েছেন, তারা ফিরে যাচ্ছেন নিজ কর্মস্থলে। ফলে বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়াও এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্টপেজ থেকে লোকাল বাসে চড়তে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা, সূর্যনগর, পাঁচ্চর থেকে ঢাকাগামী বাসে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, ‘ঈদের আগে বাড়ি ফেরার যে আকুতি থাকে তা বলে শেষ করা যাবে না। কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পর আর যেতে ইচ্ছে করে না। ঈদের ছুটি শেষ হলেও ইচ্ছা করে আরও একটা দিন বাড়িতে থাকি! কিন্তু জীবিকার প্রয়োজনে আবার ফিরতে হয় কংক্রিটের নগরীতে। রুটিন মাফিক জীবনে। ’
বুধবার এক্সপ্রেসওয়েতে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার পরিবহনের ঢাকামুখী ছুটে চলা। যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকায় প্রতিটা পরিবহনেই রয়েছে আসন সংকট। লোকাল পরিবহনে দাঁড়িয়েও যাচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়া, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের চাপও দেখা গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লেনে পরিবহনের চাপ কমে এসেছে।
জানা গেছে, ঈদ শেষে মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে ঢাকামুখী পরিবহনে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা বাড়িতে এসেছিলেন ঈদ করতে, তাদের অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন রাজধানী ঢাকায়। বুধবার ভোর থেকেই পরিবহনে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। এই চাপকে পুঁজি করে ঢাকাগামী পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রী সাইফুল আহমেদ বলেন, একটি দোকানে কাজ করি। ছুটি শেষ হওয়ায় কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি। বাসে যাত্রীদের ভিড় অনেক। সূর্যনগর থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছে। দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। ভাড়া মূলত ২০০ টাকা।
শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর এখন ঢাকামুখী পরিবহনের প্রচুর চাপ থাকবে মহাসড়কে। মঙ্গলবার থেকেই এই চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আগামী তিন/চারদিন বাড়তি চাপ থাকবে। অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। বাড়তি টহল টিম রয়েছে মহাসড়কে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে পরিবহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। ঢাকাগামী লেনে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণসহ যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মহাসড়কে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।