দিন দিন মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হচ্ছে। এটি একটি আশার কথা হলেও এই সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। অধিকাংশ মানুষই তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা চিন্তিত না। আমাদের স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস।
এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে কখন কী খাচ্ছেন, কিভাবে খাচ্ছেন এবং খাওয়ার আগে-পরে সঠিক নিয়ম নিয়ম পালন করছেন কি না। এসব মিলেই সুস্বাস্থ্য।
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাওয়ার পর কিছু কাজ করা ঠিক নয়। এগুলো স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক কী এসব কাজ।
খাওয়ার পরই ঘুম: অনেকেই খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে চলে যান। আর এতেই দেখা দেয় হজমের সমস্যা। গ্যাস, এসিডিটি থেকে বদহজমের কারণে স্থূলতা, অনিদ্রার মতো সমস্যার খপ্পরেও পড়তে পারেন। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে খাওয়ার পরই ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
ধূমপান: খাওয়ার পর শরীরের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং এই সময়ে ধূমপান করলে নিকোটিন শরীরে দ্রুত শোষিত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য, বিশেষ করে ক্যান্সারের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। তাই ধূমপান করলেও খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে করুন। সম্পূর্ণরূপে ধূমপান বর্জন করাই সবচেয়ে ভালো।
পানি অথবা চা পান: চায়ে উপস্থিত ট্যানিন শরীরে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ শোষণে বাধা দেয়। এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। একইসঙ্গে অনেকে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করেন, যা হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। তাই খাওয়ার পর পানি বা চা পান করার জন্য কমপক্ষে ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখুন।
খাওয়ার পরপরই হাঁটা: খাওয়ার পর হাঁটাচলা উপকারী ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হাঁটলে তা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, এটি হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে এবং রক্তপ্রবাহ পাকস্থলীর পরিবর্তে পেশির দিকে যায়। ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর হাঁটলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
খাওয়ার পর গোসল: আপনার যদি খাওয়ার পর পরই গোসলের অভ্যাস থাকে তাহলে এটি বাদ দিন। কারণ খাবার খাওয়ার পর শরীরের শক্তি হজমে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু যখন আপনি সঙ্গে সঙ্গে গোসল করেন, তখন শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয় এবং রক্তপ্রবাহ পাকস্থলী থেকে ত্বকে স্থানান্তরিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খাওয়ার আগে অথবা খাওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে গোসল করুন।
সূত্র: আজকাল