নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা গোবিন্দর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে স্ত্রী সুনীতা আহুজার। বিয়ের পর থেকেই নাকি স্বামীকে সেভাবে পাননি তিনি। এ নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে গোবিন্দপত্নী। তবে এত বছরের তাদের সম্পর্কে টিকে রয়েছে কীসের ওপর। আর কোন বিশ্বাসে ভিত্তিতে চলছে তাদের সংসার, সে প্রশ্নের বিস্ফোরক মন্তব্য সুনীতার।
সুনীতা যে খুব সুখে ছিলেন তা নয়। তিনি সাফ জানান, বুকে পাথর চাপা দিয়ে তারকা-পত্নী হওয়া যায়। প্রথম জীবনে গোবিন্দ স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছিলেন সবার থেকে। তিনি ভেবেছিলেন— বিবাহিত নায়কের কথা জানতে পারলে খ্যাতি কমে যাবে। তবে বছর তিনেকের মাথায় সবাইকে জানান তিনি বিবাহিত।
তারকা-পত্নী হওয়া যে সহজ কথা নয়, তা টের পেয়েছিলেন সুনীতা আহুজা। ৩৭ বছরের দাম্পত্য বলি অভিনেতা গোবিন্দ ও তার স্ত্রীর। দীর্ঘ এই সময়ে একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে থেকেছেন তারা।
সম্প্রতি সুনীতা জানিয়েছেন, এত বছরের দাম্পত্য, তবু একসঙ্গে বাস করেন না তারা। তাদের ছাদ আলাদা। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি থাকেন ফ্ল্যাটে। ঠিক তার উল্টো দিকে নিজের বাংলোয় একা থাকেন অভিনেতা। যদিও বিয়ের পর থেকে স্বামীকে সেভাবে পাননি।
তবে এত বছরের সম্পর্ক কীভাবে টিকে রয়েছে। সুনীতা বলেন, যখন আমার সন্তান হয়, তখন গোবিন্দ বাইরে শুটিং করছে। আমার শাশুড়ি মা সঙ্গে ছিলেন। অত ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে বাইরে যাওয়াও যায় না। বুকে পাথর চাপা দিতে হয় আসলে।
তিনি বলেন, যখন তুমি দেখবে, তোমার স্বামী তোমার থেকে বেশি সময় কাটাচ্ছে সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে, তখন বিষয়টি খুবই কষ্টের।
যদিও গোবিন্দ-পত্নী স্বামীকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী— তার স্বামী তেমন খারাপ কিছু কখনো করেননি।