দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত মো. আসাদুজ্জামান সকাল। হাফ স্টপ ডাউন থেকে প্রযোজনা শুরু, এরপর এক দশকে তিনি প্রযোজনা করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি, ওয়েব সিরিজ, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এরপর নিজেই খুলেছেন নতুন প্রযোজনা সংস্থা ডিজিটাল শ্যাডো।
ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার সহ-প্রযোজিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, যা দর্শক বেশ পছন্দ করছেন। সিরিজটি প্রযোজনা করতে আগ্রহী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’-এর প্রাথমিক ধারণা শুনি, তখনই বুঝি-এটা আমাদের সমাজ ও সময়কে নিয়ে এক সাহসী গল্প। নির্মাণের ভিশনটা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, প্রযোজনা করতে আগ্রহটা একেবারে স্বাভাবিকভাবেই এসেছে।
ঈদের সময় দর্শকরা ভিন্নধর্মী কিছু খুঁজে থাকেন-ঠিক সেই জায়গা থেকেই সিরিজটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান।
আসাদুজ্জামান সকালের মতে, বর্তমানে প্রযোজকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- সাস্টেইনেবল মডেল খুঁজে পাওয়া। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এসেছে, কিন্তু বাজেট, রিটার্ন ও কনটেন্টের ভারসাম্য তৈরি করাটা কঠিন।
প্রযোজনার চ্যালেঞ্জিং দিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন প্রযোজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ‘ভিশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়া’। বাজেট, টেকনিক্যাল লজিস্টিক, ট্যালেন্ট, লোকেশন, সময়-সবকিছুর একটা ব্যালেন্স করতে হয়, যাতে নির্মাতার কল্পনা স্ক্রিনে ঠিকভাবে ফুটে ওঠে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রত্যেক মানুষের ইগো, আবেগ ও চাপের মাঝে একটা পজিটিভ টোন বজায় রাখা।’
এই মুহূর্তে কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান আসাদুজ্জামান। চেষ্টা চালাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার গল্পকে বিশ্বদর্শকের সামনে তুলে ধরার। এছাড়া একটি ফিচার ফিল্ম, একটি ডকুফিকশন এবং দুটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সিরিজ ডেভেলপমেন্টে আছে বলেও জানান।