লাল মাংস বা রেড মিট বলতে বিভিন্ন গবাদিপশু, যেমন গরু, খাসির মাংসকে বোঝায়। স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা এ ধরনের মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করেন। রেড মিটে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তের কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়, ফলে হৃদ্রোগের মতো বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে মাংস খাওয়া একেবারে বন্ধ করা ঠিক নয়। কারণ, লাল মাংসে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান আছে, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
আমিষ
শরীরের গঠন বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য আমিষের বিকল্প নেই। সেই আমিষ বা প্রোটিনের অন্যতম উৎস হচ্ছে এ ধরনের লাল মাংস। এতে প্রথম শ্রেণির আমিষ পাওয়া যায়।
আয়রন
আয়রন আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে হিমোগ্লোবিন, যা আসে আয়রন থাকে। আয়রনের অন্যতম উৎস হচ্ছে লাল মাংস। লাল মাংসের আয়রন অন্যান্য উৎসের আয়রনের তুলনায় শরীরে বেশি শোষিত হয়।
ভিটামিন বি১২
আমাদের রক্ত, কোষের ডিএনএ গঠনের জন্য বি১২ ভিটামিন খুব জরুরি। এই ভিটামিন প্রাণিজ প্রোটিন থেকেই মূলত পাওয়া যায়। যাঁরা একেবারেই মাংস খান না, তাঁদের ভিটামিন বি১২–র অভাব হতে পারে।
জিংক
জিংক আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ক্ষত শুকানোর ক্ষেত্রেও জিংক প্রয়োজনীয়। এই জিংকের অন্যতম উৎস হচ্ছে লাল মাংস।
কীভাবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে লাল মাংস খাবেন
লাল মাংস একেবারে বর্জন করা ঠিক নয়। কিডনি বা হার্টের রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিতভাবে মাংস খেতে হবে। সপ্তাহে দুবারের বেশি লাল মাংস না খাওয়াই ভালো। চর্বিযুক্ত লাল মাংস বেশি ক্ষতিকর। যেদিন খাবারে লাল মাংস থাকে, সেদিন খাবারে বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও সালাদ রাখার চেষ্টা করুন।
ডা. সাইফ হোসেন খান, মেডিসিন কনসালট্যান্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি