বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার যে সংস্কার কাজের দায়িত্ব নিয়েছে- তা শেষ করতে এক মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। তাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ চলতি জুন ও আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান তিনি।
শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সোজাপথে হাঁটুন। বিচারের কাজকে দৃশ্যমান ও কার্যকর করুন। যেমন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছি, তেমনি গত বছরের অভ্যুত্থানে যারা মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিচারও হওয়া দরকার। আপনি দীর্ঘ সময় নিয়েছেন সংস্কার প্রক্রিয়ায়— এখন আর নয়। আমরা আশা করি, জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের কাজ শেষ করবে। ‘জুলাই সনদে’ যেন সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করতে পারে, সে লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”
তিনি বলেন, “সরকারের হাতে যে কাজ রয়েছে, তা সম্পন্ন করতে এক মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। আমরা আশা করব- সরকার গড়িমসি না করে দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করবে।”
সাইফুল হক বলেন, ‘গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, জাতীয় স্বার্থ ও সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ে বুক চিতিয়ে অংশ নিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দীর্ঘ পথচলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন, মামলার শিকার হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে হাতেগোনা যেসব দল এখনো রাজপথে রয়েছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বরের ঘটনার পর অনেক দল পুলিশের ভয়ে পিছু হটলেও আমরা রাজপথে থেকেছি। তখনো বলেছিলাম, এই ফ্যাসিবাদকে বিদায় দেব এবং সেই অঙ্গীকার আমরা পালন করেছি। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও আমাদের কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন, আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। এই অর্জন রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’
সাইফুল হক একাত্তর থেকে শুরু করে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সব মানুষের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, আনসার আলী দুলাল, আবু হাসান টিপু, আকবর খান, কেন্দ্রীয় সংগঠক জামিরুল রহমান ডালি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নি শিখা জামালি প্রমুখ।