আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ২৭০ জন প্রাণ হারানোর পর বোয়িং ৭৮৭ মডেলের সব বিমানের বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
শুক্রবার ভারতের বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এয়ার ইন্ডিয়াকে ‘জিইএনএক্স’ ইঞ্জিনযুক্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ও ৭৮৭-৯ বিমানের কার্যকারিতা নিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়। এর আওতায় উড্ডয়নের সীমা, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং ইঞ্জিন জ্বালানিবিষয়ক বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
শনিবার দিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহান নাইডু বলেন, বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমানগুলোতে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বহরে বর্তমানে এই মডেলের ৩৪টি বিমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ইতোমধ্যে আটটি বিমান পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বাকি বিমানগুলোতেও পরীক্ষার কাজ চলমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন।
উড্ডয়নের কিছু সময় পর বিমানটি উচ্চতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দরের পাশে একটি মেডিকেল হোস্টেলের ওপর আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা প্রায় সকল যাত্রীর পাশাপাশি হোস্টেলের বেশ কয়েকজনও প্রাণ হারান। রয়টার্স জানিয়েছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭০ জনে।
মৃতদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডীয় এবং ৭ জন ছিলেন পর্তুগিজ। বাকিরা সবাই ভারতীয়।
ফ্লাইটরেডারের তথ্য অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ৩৩টি বিমান রয়েছে, আর প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ইন্ডিগোর বহরে রয়েছে একটি মাত্র।
বিমান পরীক্ষার বিষয়ে এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সরকারের তত্ত্বাবধানে তারা নিরাপত্তা মূল্যায়নের কাজ করছে। নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে, ফলে দীর্ঘ দূরত্বের রুটে ফ্লাইটে বিলম্ব হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
বিমানমন্ত্রী রাম মোহান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
