ট্রান্সজেন্ডার ও নন-বাইনারি (লিঙ্গ নির্দিষ্ট নয়) মার্কিনদের পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। এ নীতিটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বলে ধারণা আদালতের।
বোস্টনের ইউএস ডিসট্রিক্ট জজ জুলিয়া কোবিক একটি প্রাথমিক স্থগিতাদেশ জারি করেন, যা তার এপ্রিলে প্রদত্ত পূর্বের রায়ের সম্প্রসারণ। আগের রায়ে তিনি শুধু ছয়জন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এ নীতি প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। যেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধুমাত্র দুটি লিঙ্গ (পুরুষ ও নারী) স্বীকৃতি দেবে এবং লিঙ্গ পরিবর্তনযোগ্য নয়।
এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্ট শুধুমাত্র আবেদনকারীর জৈবিক লিঙ্গ অনুযায়ী পাসপোর্ট ইস্যু করতে থাকে। এতে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অনেক ট্রান্স আবেদনকারী যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের আবেদন বাতিল হয়ে যায়। ট্রান্স ভ্রমণকারীদের থামিয়ে তাদের ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়।
এর আগে বিচারক কোবিক আদেশ দিয়েছিলেন, মামলাটি চলাকালীন সময়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে ছয় ট্রান্স ও নন-বাইনারি আবেদনকারীকে পাসপোর্ট দিতে হবে।