সর্বশেষ
জার্মান জাদুকরকে পেতে ১৯০০ কোটি টাকা খরচ লিভারপুলের
১৬ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ফাঁস, হুমকির মুখে সাইবার নিরাপত্তা
ঈদের সিনেমার প্রচারণায় এগিয়ে নায়িকারা
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু
যেসব জাদুকরি উপকারের জন্য কলা খাবেন
ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, চাঁদাবাজও তাড়াব: ফয়জুল করীম
গৌরীপুরে ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
‘পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরাইল, তাদের পতন অনিবার্য’
জিয়া পরিবার সব সময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে: দুলু
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে সকাল-সন্ধ্যায় ট্রেন চালুর দাবি
মানুষের অধিকার রক্ষায় গণপরিষদ নির্বাচনের বিকল্প নেই: এনসিপি
সহজ হলো বিদেশে অর্থ পাঠানোর নিয়ম
ইউআইইউর শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
১ টন এসির ওজন ৩৫ কেজি কেন?

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে সাবেক তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে বিএনপি। সূত্র বলছে, আগামীকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হবে।

সূত্র অনুযায়ী, রোববার সকালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র হস্তান্তর করবেন। এই চিঠিতে থাকবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর স্বাক্ষর। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদ শেরেবাংলা নগর থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করবেন।

২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বহুল আলোচিত ও সমালোচিত। তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ১৫৩টি আসনে ভোটগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে।
এই নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি ও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। মাত্র ১২টি দল অংশ নেয়, যার ফলে নির্বাচনটির গণতান্ত্রিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে ছিলেন: মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ।

কাজী রকিবউদ্দীন শেষ মুহূর্তে বলেন, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া দোষের কিছু নয়। এটি আইনে আছে।’

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচন রাতেই ভোট ডাকাতি ও আগাম ব্যালট সিল মারা হয় বলে অভিযোগ করে দলটি।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন অর্জন করে। বিপরীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জয়লাভ করে।

তৎকালীন সিইসি ছিলেন কে এম নুরুল হুদা যিনি ভোটের অনিয়ম জেনেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলো- মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও (প্রয়াত) মাহবুব তালুকদার।

সর্বশেষ কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের নির্বাচন নিয়ে রয়েছে আরও বিতর্ক। তার অধীনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি, ভোটের হার ও স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫% ভোট পড়ার কথা বলা হলেও, এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ৪০% বলে উল্লেখ করা হয়। যা নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আউয়াল কমিশনে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর ও বেগম রাশেদা সুলতানা।

বিএনপির দাবি, এই কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন করে ডামি ভোট নামে পরিচিত হয়।

নির্বাচন | বিএনপি

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ