ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক হুমায়ুন কবীরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে শনিবার (২১ জুন) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা, পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদল।
এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোনায়েদ খান পাঠান সাব্বির। সঞ্চালনা করেন পৌর ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক কামরুল ইসলাম পিয়াস।
বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান আকন্দ সুমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন আকাশ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক রিপন সরকার, পৌর ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক আরিফুল হক উদয়, গৌরীপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সুমন মিয়া, অচিন্তপুরের সভাপতি অলি উল্লাহ, মাওহার সভাপতি শরীফ মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম ফকির, সহনাটীর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল কায়সার, বোকাইনগরের সাধারণ মনিরুজ্জামান জয়, ডৌহাখলা ছাত্রদলের সভাপতি সজিব চৌধুরী প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তারা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এরপরও পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না। তারা আরও উল্লেখ করেন, এক আসামি ফেসবুকে লিখেছে ‘মার্ডার একটা করলেও যা হয়, ১০টা করলেও তাই হয়।’
গৌরীপুর থানার ওসি দিদারুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোনাকান্দি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামি গ্রেফতারে শুধু পুলিশ নয়, গ্রেফতারের জন্য বিশেষ টিমও কাজ করছে। তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকাল ৬ টার দিকে হুমায়ুন কবির (২২) নিজ গ্রাম সোনাকান্দি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে মেহেদী হাসান টুটুলের বাড়ির সামনে যেতেই আসামি পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় সে দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেই চাইনিজ (টিপ ছুড়ি) ছুড়ি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় তার বাবা খাইয়ুম মিয়া (কাইয়ুম) বাদী হয়ে গত সোমবার (১৬ জুন) গৌরীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলায় বাদল মিয়া (তোতা মিয়া), রাশিদুল ইসলা রানা (রাসু), সজিব মিয়া, রবিন, মেহেদী হাসান টুটুল, মাসুদ রানা, আব্দুল কদ্দুছ, মজিবুর রহমান, সোহাগ মিয়া, শামছুল হক, কামরুল ইসলামের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।