অফিসের কাজের চাপ। টানা কাজ করে বাড়ি ফিরে শরীরের ক্লান্তি ভর করে। ৮ ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ আর শরীরচর্চার অভাবেই বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ। বাড়ছে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকিও। আর এ সমস্যা সমাধানে শরীরচর্চার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দেখা যায় এই নিয়মিত শরীরচর্চা করতেও আপনার গাফিলতি।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, নিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। হৃদরোগের ঝুঁকি যদি কমাতে হয়, তবে তা ব্যায়ামের মাধ্যমে করতে হবে। অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই। আর ব্যায়াম মানে একেবারেই তাড়াহুড়ো করে শরীরকে জোর করে মানিয়ে নেওয়া নয়। বরং কীভাবে ব্যায়াম করছেন, কী কী ব্যায়াম করছেন; তার ওপরই নির্ভর করছে আপনি হৃদরোগের সঙ্গে কতটা সক্রিয়ভাবে লড়তে পারেন। যোগাসনের এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যা আপনার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
মূল করোনারি ধমনিগুলোর পাশাপাশি বেশ কিছু ধমনি থাকে, যেগুলো সচরাচর তেমন কাজ করে না৷ নিয়মিত ব্যায়াম করলে আস্তে আস্তে এরা সজীব হয়৷ এদের মধ্য দিয়ে রক্ত সঞ্চালন শুরু হয় ৷ যত তা বাড়ে, তত তরতাজা হয় হার্ট৷ সেই সঙ্গে ধকল সহ্য করার ক্ষমতাও বাড়ে৷
জেনে নিন হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবেন কোন কোন যোগাসনে?
তাড়াসন
সংস্কৃতে ‘তাড়’ শব্দের অর্থ হলো— পর্বত। অর্থাৎ এই আসনে দেহের ভঙ্গি হবে অনেকটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল পর্বতের মতো। তাই এই আসনকে বলে ‘মাউন্টেন পোজ’। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দুটি দুই পাশ থেকে তুলে কনুই ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার পেছন দিকে। এবার দুই হাতের আঙুল একত্রিত করে হাতের তালু রাখতে হবে মাথার পেছন দিকে। শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটি মাথার ওপর দিয়ে প্রসারিত করুন। গোড়ালি মাটি থেকে ওপর দিকে তুলে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
দুই পায়ের মধ্যে সামান্য ব্যবধান রেখে প্রথমে ম্যাটের ওপর টান টান হয়ে দাঁড়াতে হবে। এরপর হাঁটু ভাঁজ করে কোমর থেকে পিঠ সামনের দিকে সামান্য প্রসারিত করুন। দুই হাত দুই কানের পাশ দিয়ে মাথার ওপর তুলতে হবে। মনে মনে কল্পনা করুন, যেন চেয়ারে বসছেন। সেই অদৃশ্য চেয়ারে বসতে গেলে শরীরের ভঙ্গি যেমনটা হওয়া উচিত, তেমনটাই হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।
অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ’। এই আসন অভ্যাসে হার্ট ভালো থাকে। উদ্বেগ-দুশ্চিন্তাও কমে। প্রথমে হাত ও হাঁটুতে ভর করে হামাগুঁড়ি দেওয়ার মতো করে বসতে হবে। হাতের তালু মাটিতে থাকবে, পিঠ ওপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। মাথা যতটা সম্ভব মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে গভীরভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হবে। ২০ সেকেন্ড করে আসনটি তিন বার অভ্যাস করতে হবে।