আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির বোর্ড সভায় সোমবার বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে, ১২ মে আইএমএফের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চতুর্থ রিভিউয়ের ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ সম্পন্ন হওয়ার পর এই অর্থ একত্রে ছাড় করার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। গত ১২ মে বাংলাদেশ ও আইএমএফের মধ্যে সমঝোতার পর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ২৩ জুন দুই কিস্তির অর্থ ছাড় হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান জানান, তারা ঋণ ছাড়ের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। চুক্তি অনুযায়ী ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এই ঋণ ছাড় করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, এ বিষয়ে আইএমএফের নিশ্চিত করতে সময় লাগে এবং মঙ্গলবার বিস্তারিত জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম ৬ ম্যানুয়াল হিসাবে ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। নতুন ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হলে মোট রিজার্ভ ২৮ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে।
জানা গেছে, জুনে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভের (এনআইআর) লক্ষ্যমাত্রা আইএমএফ ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছিল। তবে সরকার গত ১২ মে তা ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে রাখার প্রস্তাব দিলে আইএমএফ তা গ্রহণ করে। বর্তমানে এনআইআর হিসাবে রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। আইএমএফের আসা ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন যোগ করলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ প্রায় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়, যা সংশোধিত লক্ষ্য পূরণ করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।