ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব এ জামিন আদেশ দেন। ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়ার দায়ের করা মামলায় এতদিন কারাগারে ছিলেন নোবেল।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে সেই ছাত্রী প্রিয়া ও নোবেলের বিয়ে হয়। তার আগে বুধবার (১৮ জুন) ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে নোবেলের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে নোবেলকে স্বামী হিসেবে পেয়ে খুশি হতে দেখা গেছে সেই ছাত্রী ও নোবেলের স্ত্রী প্রিয়াকে। প্রেস ব্রিফিংয়ে নোবেলের মুক্তির ব্যাপারে কোন আপত্তি না থাকার কথা জানান প্রিয়া। পরে তাদের আইনজীবীরা জানান, শিগগিরই তাদের সংসারে নতুন মেহমান আসতে যাচ্ছে। তাই সুখী ও নতুন দাম্পত্য জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চান প্রিয়া।
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ওই শিক্ষার্থী। মামলা দায়েরের পরই নোবেলকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় তাকে আটকে রাখে। সেদিন রাত অনুমান ৮টার সময় ওই ছাত্রীর মোবাইল নিয়ে নেয়। সে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নোবেলকে মোবাইল ফেরত দিতে বলে। কিন্তু নোবেল ২৬ হাজার টাকার রেডমি-১০ প্রো মোবাইলটি ভেঙে ফেলে।
এরপর নোবেল তার বসতঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনও কিছু বলার সাহস পাননি।