জীবনে এগিয়ে যেতে হলে কেবল ইচ্ছাশক্তি নয়, প্রয়োজন প্রখর মেধা ও মনোযোগ। একাডেমিক সাফল্য হোক বা পেশাগত উৎকর্ষ, কিংবা আত্মউন্নয়ন—সব ক্ষেত্রেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বড় ভূমিকা রাখে। তবে এই দক্ষতা শুধু জন্মগত নয়; সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে যেকোনো মানুষ তার মানসিক শক্তিকে শাণিত করতে পারেন। যেমন নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখে, তেমনি প্রতিদিনের কিছু সহজ মানসিক অনুশীলন মস্তিষ্ককে করে তুলতে পারে আরও সক্রিয়, দক্ষ ও স্থিতিশীল। আসুন, জেনে নিই এমন কিছু কার্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্ককে আরও উজ্জ্বল ও প্রস্তুত করে তুলবে সাফল্যের জন্য।
মেডিটেশন দিয়ে দিন শুরু করুন
ব্যায়াম কেবল শরীরের জন্য নয়, এটি মস্তিষ্কের ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন মেডিটেশন করলে তা মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। ব্যায়াম মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) উৎপাদনও বাড়ায়। এটি একটি প্রোটিন যা শেখার ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
সঠিক মানুষ বেছে নেওয়া
একজন ভালো সঙ্গী আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। কীভাবে? ঠিক আছে, সফল বা সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গে চিন্তাশীল কথোপকথন মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। সেইসঙ্গে এটি কমিউনিকেশন স্কিল এবং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সও উন্নত করে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের আশেপাশে থাকলে আপনার স্বপ্নও বড় হতে থাকবে। আত্মবিশ্বাসী মানুষ অন্যের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিদিন পড়ুন
অত্যন্ত সফল ব্যক্তি এবং বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে একটি সাধারণ অভ্যাস থাকে – তারা সবাই একনিষ্ঠ পাঠক। সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট বা বই পড়া যাই হোক না কেন, পড়া তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। কেন? কারণ পড়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি জ্ঞান প্রসারিত করা থেকে শুরু করে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করা পর্যন্ত নানাভাবে সাহায্য করে। এটি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে, যার ফলে একজন সমৃদ্ধ মানুষ হয়ে ওঠা সহজ হয়। পড়া আমাদের শব্দভাণ্ডার উন্নত করে, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল করে এবং মনকে উদ্দীপিত করে।
ভালো ঘুম জরুরি
অনেকেই ঘুমকে অবহেলা করে। তবে মেধাশক্তি বৃদ্ধির জন্য ভালো ঘুম খুবই প্রয়োজন। কেন? কারণ ঘুমালে আমাদের মস্তিষ্ক স্মৃতি পুনরুদ্ধার করে, মেরামত করে এবং গুছিয়ে রাখে। কম ঘুম মেজাজ খিটখিটে করে, একাগ্রতা নষ্ট করে। তাই প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন গভীর ঘুম জরুরি।