সর্বশেষ
গাজায় খাদ্য বিতরণ নিরাপদ করতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি ফ্রান্সের
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান
মনকাড়া যত শাড়ির লুকে মনামী
শিশুদের মাছ খাওয়া কেন জরুরি 
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ: উপসর্গ না থাকলেও এই সমস্যাকে অবহেলা করতে নেই
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম
যে ৫ উপকার পেতে করবেন অক্সিজেন ফেশিয়াল
অ্যান্টিবডি দিয়ে স্তন ক্যানসারের জিন ধ্বংসের দাবি বিজ্ঞানীদের
রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
নারীদের কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত-ইসলামী সংগীত শোনা জায়েজ?
ফুলে ফুলে রূপচর্চা: যুগ যুগ ধরে ত্বক ও চুলের যত্ন নিচ্ছে এই ৫ ফুল
আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, ভরিতে কত?
পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এশিয়ার মুসলিম দেশকে সহায়তা করবে রাশিয়া
আরবে প্রেরিত পাঁচজন নবী-রাসুল
‘ভালো নির্বাচনের’ জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন

আরবে প্রেরিত পাঁচজন নবী-রাসুল

অনলাইন ডেস্ক

আরবে প্রেরিত নবী-রাসুলের সংখ্যা পাঁচ জন। তারা হলেন ইসমাইল (আ.), হুদ (আ.), সালিহ (আ.), শোয়াইব (আ.) ও মুহাম্মদ (সা.)। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি বললাম—হে আল্লাহর রাসুল! নবীদের সংখ্যা কত? তিনি বললেন, এক লাখ ২৪ হাজার। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের ভেতর রাসুল কতজন? আমি বললাম, তিন শ ১৩ জনের একটি বড় দল। রাসুল (সা.) বলেন, চার জন সুরয়ানি : আদম (আ.), শিস (আ.), নুহ (আ.) ও ইদরিস (আ.)। ইদরিস (আ.) প্রথম কলম দিয়ে লেখেন। তাদের চার জন আরব : হুদ (আ.), সালিহ (আ.), শোয়াইব (আ.) ও তোমার নবী (সা.)। বনি ইসরাইলের প্রথম নবী মুসা (আ.) এবং তাদের শেষ নবী ঈসা (আ.)। প্রথম নবী (আ.) এবং শেষ নবী তোমার নবী (সা.)। (আদ-দুররুল মানসুর : ৫/১৩২)

এর বাইরে ইসমাইল (আ.)-ও আরবের নবী ছিলেন। কেননা তাঁর মাধ্যমে আরবদের ‘মুস্তারিবা’ (নবাগত) ধারার উত্পত্তি হয়েছিল। এজন্য তাঁকে আরব জাতির পিতাও বলা হয়।

আরবে প্রেরিত পাঁচ নবীরাসুলের পরিচয়
আরব জাতির প্রতি প্রেরিত পাঁচ জন সম্মানিত নবী-রাসুলের পরিচয় তুলে ধরা হলো—
. হুদ (.) : আল্লাহ নবী হুদ (আ.)-কে আদ জাতির প্রতি প্রেরণ করেন। তারা ছিল ‘আরবে বাদিয়া’ (প্রাচীন আরব গোত্র যাদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না) ধারা অন্তর্ভুক্ত। আদ জাতি আহকাফ নামক স্থানে বসবাস করত, যা ইয়েমেন, আম্মান ও হাদারামাউতের মাঝে অবস্থিত। আদ জাতি আল্লাহর শাস্তিতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পবিত্র কোরআনে হুদ (আ.) ও তাঁর গোত্রের বর্ণনা একাধিকবার এসেছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘আদ সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের ভাই তাদেরকে বলল, তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসুল। অতএব আল্লাহকে ভয় কোরো এবং আমার আনুগত্য কোরো।’ (সুরা আশ-শুআরা, আয়াত : ১২৩-১২৭)

. সালিহ (.) : নবী সালিহ (আ.) সামুদ জাতির প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। সামুদ গোত্রও আরবে বাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা আধুনিক সৌদি আরবের হিজর নামক স্থানে বসবাস করত। হিজর হিজাজ ও তাবুকের মধ্যে অবস্থিত। সামুদ জাতিও আল্লাহর শাস্তিতে ধ্বংস হয়েছিল। কোরআনের একাধিক সুরায় সামুদ জাতি ও সালিহ (আ.)-এর বর্ণনা এসেছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে, ‘সামুদ সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল। যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলল, তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল। অতএব আল্লাহকে ভয় কোরো এবং আমার আনুগত্য কোরো। আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোনো প্রতিদান চাই না, আমার পুরস্কার জগতগুলোর প্রতিপালকের কাছেই আছে।’ (সুরা আশ-শুআরা, আয়াত : ১৪১-১৪৫)

. শোয়াইব (.) : আল্লাহ তাআলা শোয়াইব (আ.) মাদায়েনের অধিবাসীদের জন্য প্রেরণ করেছিলেন, তারা ছিল আরব। মাদায়েন হলো হিজাজের নিকটবর্তী শামের উপকণ্ঠে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। যা আধুনিক সৌদি আরবে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এবং জর্ডানের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। আল্লাহর প্রতি ঈমানের আহ্বান প্রত্যাখ্যান এবং ওজনে কম দেওয়ার কারণে তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি মাদায়েনবাসীর কাছে তাদের ভাই শোয়াইবকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কোরো, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য উপাস্য নেই। তোমাদের প্রতিপালক থেকে তোমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ এসেছে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৮৫)

. ইসমাইল (.) : নবী ইসমাইল (আ.) পবিত্র মক্কা নগরীতে বেড়ে ওঠেন। মক্কা, হিজাজ ও ইয়েমেনের জন্য প্রেরিত হন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ কোরো এই কিতাবে ইসমাইলের কথা, সে ছিল প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং সে ছিল রাসুল ও নবী। সে তাঁর পরিবারকে নামাজ ও জাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তাঁর প্রতিপালকের সন্তোষভাজন।’ (সুরা মারিয়াম, আয়াত : ৫৪-৫৫)

. মুহাম্মদ (সা.) : শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর। তিনি ছিলেন শেষ নবী এবং তিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ নবুয়াতের ধারাকে পূর্ণতা দান করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪০)

মহান আল্লাহ সব নবী-রাসুলের প্রতি শান্তি বর্ষণ করুন। আমিন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ