সর্বশেষ
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় সম্পৃক্ত হচ্ছে নৌবাহিনী
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠক চলছে
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে এআই ম্যাজিক
গাজায় খাদ্য বিতরণ নিরাপদ করতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি ফ্রান্সের
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান
মনকাড়া যত শাড়ির লুকে মনামী
শিশুদের মাছ খাওয়া কেন জরুরি 
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ: উপসর্গ না থাকলেও এই সমস্যাকে অবহেলা করতে নেই
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম
যে ৫ উপকার পেতে করবেন অক্সিজেন ফেশিয়াল
অ্যান্টিবডি দিয়ে স্তন ক্যানসারের জিন ধ্বংসের দাবি বিজ্ঞানীদের
রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
নারীদের কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত-ইসলামী সংগীত শোনা জায়েজ?
ফুলে ফুলে রূপচর্চা: যুগ যুগ ধরে ত্বক ও চুলের যত্ন নিচ্ছে এই ৫ ফুল
আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, ভরিতে কত?

অ্যান্টিবডি দিয়ে স্তন ক্যানসারের জিন ধ্বংসের দাবি বিজ্ঞানীদের

অনলাইন ডেস্ক

জটিল অস্ত্রোপচার নয়। যন্ত্রণাদায়ক ক্যামোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপিও নয়। ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম এক ধরনের অ্যান্টিবডি। ইমিউনোথেরাপি দিয়ে স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার সারানোর চেষ্টা করছেন গবেষকেরা।

কিংস কলেজ অফ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন। গবেষক হেথার ব্যাক্স জানিয়েছেন, এতদিন ইমিউনোগ্লোবিউলিন জি (আইজিজি) অ্যান্টিবডি দিয়ে যে কোনো রোগ সারানোর চেষ্টা হত। কিন্তু আরও এক ধরনের অ্যান্টিবডি আছে যার নাম ইমিউনোগ্লোবিউলিন ই (আইজিই) যেটি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকেরা।

বিজ্ঞানীরা জানান, স্তন ক্যানসারের সবচেয়ে পরিচিত ধরন— ইআর/পিআর (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) পজিটিভ এবং এইচইআর২ নেগেটিভ। এইচইআর১ ও এইচইআর২ নামক দুটি জিনই স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। এর মধ্যে এইচইআর২ জিনটির কারণে ক্যানসার সেরে যাওয়ার পরেও তা ফিরে আসার ঝুঁকি থাকে। এই জিনটিকে কীভাবে কাবু করা যায়, সে নিয়েই গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষণায় দেখা যায়, যদি ইমিউনোগ্লোবিউলিন ই (আইজিই)অ্যান্টিবডি রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো যায়, তাহলে সেটি সরাসরি ক্যানসারের জিনটিকে আক্রমণ করবে। শরীরের বাকি রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোকেও (ইমিউন কোষ) এমনভাবে সক্রিয় করে তুলবে, যাতে ওই জিনটি আর ক্যানসারের কারণ না হয়ে উঠতে পারে।

স্তন ক্যানসার গোড়ায় ধরা পড়লে চিকিৎসায় তা নির্মূল করা সম্ভব অনেক ক্ষেত্রেই। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার যেমন সেরে যায়, তেমনই সুস্থ হওয়ার পাঁচ-সাত বছর পর তা আবার ফিরেও আসতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘মেটাস্ট্যাটিক ডেভেলপমেন্ট’ বলা হয়।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ক্যানসার নিরাময়ের পর প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত সাধারণত তার ফিরে আসার সম্ভাবনা তেমন থাকে না, তবে এইচইআর২ জিনটি যদি সক্রিয় থাকে, তাহলে রোগ ফিরে আসার ঝুঁকি থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি দিয়ে চিকিৎসা করলে ক্যানসার কোষগুলোকে গোড়া থেকে নির্মূল করা সম্ভব বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের।

কিংস কলেজ অফ লন্ডনের আরও এক গবেষক সোফিয়া কারাগিয়ান্নিস জানিয়েছেন, কেবল স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় নয়, ওই বিশেষ অ্যান্টিবডিটি আরও নানা ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে। মানুষের শরীরে এই অ্যান্টিবডিটি খুব ভালো কাজ করছে বলেও দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। সব ঠিক থাকলে আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই থেরাপিটি বিশ্বজুড়েই ক্যানসার রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ