পাকিস্তানের কুররম জেলার তেরি মঙ্গল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবারের এ অভিযানে নিহতরা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
নিরাপত্তা বাহিনী বিবৃতি জানিয়েছে, এই দুইজন ২০২৩ সালে তেরি মঙ্গল এলাকায় স্কুল শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ওই হামলায় জড়িত প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল ৫০ লাখ রুপি।
নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্যমতে, তারা একটি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল যারা তেরি মঙ্গলে পাঁচ শিক্ষককে হত্যার জন্য দায়ী। গোলাগুলির সময় এক স্থানীয় বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে পায়ে আঘাত পান।
২০২৩ সালের মে মাসে আপার কুররমে বিভিন্ন হামলায় মোট ছয়জন স্কুল শিক্ষক নিহত হন। কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র হামলাকারীরা তেরি মঙ্গল হাই স্কুলে ঢুকে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে ছয়জন শিক্ষক ও একজন স্টাফ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পাকিস্তান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে, ২০২৩ সালের মে মাসের ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচজন সন্দেহভাজনের নাম আগেই পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। এদের মধ্যে দুইজন এবার নিহত হয়েছে, বাকি তিনজনের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হাফিজ উর রহমান, ওয়াজিদ গুল ও আরও তিনজনের মাথার বিনিময়ে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং সন্ত্রাস সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
পাকিস্তানে সাম্প্রতিক সহিংসতা
গত সপ্তাহে দেশটির আপার কুররমের পেওয়ার এলাকার শরমখেল গ্রামে একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত ও চারজন আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ কর্মকর্তা মালিক হাবিব জানান, হতাহতরা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে এই বিস্ফোরণের শিকার হন। ঘটনায় দুটি ঘোড়াও নিহত হয়।
গত কয়েক মাসে কুররম অঞ্চলে সহিংসতা বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজাতীয় সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং অঞ্চলটির বেশ কিছু অংশ দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।