দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বেড়েই চলেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ২১৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিতে আসেনি ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী।
অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর আগে ২৯ জুন অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ২৬ জুন অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এদিকে মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার হয়েছে ৬ পরীক্ষার্থী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ২১৩টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৮৯৪ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১ হাজার ১৩৭ জন। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে আসেনি ১ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ৪৭টি কেন্দ্রে মোট ২০ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৩৩৯ জন, ঠাকুরগাঁও জেলার ১৯টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৭০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জন, পঞ্চগড় জেলার ১২টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪১ জন, রংপুর জেলার ৪১টি কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৩০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৬ জন, গাইবান্ধা জেলার ৩০টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৭ জন, নীলফামারী জেলার ২৪টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৯ জন, কুড়িগ্রাম জেলার ২৭টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৫১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৮ জন এবং লালমনিরহাট জেলার ১৩টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৪৭ জন।
এর আগে ২৬ জুন অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ২৯১ জন এবং ২৯ জুন অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৪৬৭ জন পরীক্ষার্থী।
এদিকে মঙ্গলবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত ইংরেজী প্রথমপত্র বিষয়ে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঠাকুরগাঁও জেলায় বহিষ্কার হয় ৪ জন পরীক্ষার্থী এবং গাইবান্ধা জেলায় বহিষ্কার হয় ২ জন পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার বৃদ্ধির বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী জানান, পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনুপস্থিতির কারণ লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হবে। তখন প্রকৃত কারণ জানা যাবে।