মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থার (আইসিই) কর্মকর্তাদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের এড়িয়ে চলতে সহায়তাকারী একটি মোবাইল অ্যাপ নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আইসিই-এর একটি নতুন আটক কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম সাংবাদিকদের কাছে এই হুমকির কথা জানান। ‘আইসব্লক’ নামের অ্যাপটি নিয়ে সংবাদ প্রচারের কারণে সিএনএনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের সঙ্গে মিলে মামলা করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগের সঙ্গে কাজ করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি। কারণ তারা যা করছে, তা হলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রম ও অভিযান এড়ানোর জন্য মানুষকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করা। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব এবং মামলা করব। তারা যা করছে তা বেআইনি। ‘
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটির একজন মুখপাত্র এর জবাবে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি এমন একটি অ্যাপ যা যেকোনো আইফোন ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত এবং যে কেউ এটি নামিয়ে (ডাউনলোড করে) ব্যবহার করতে পারে। এই অ্যাপের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংবাদ প্রচার করা কোনোভাবেই বেআইনি নয়। একইসঙ্গে, এই ধরনের সংবাদ প্রচারের অর্থ এই নয় যে সিএনএন অ্যাপটিকে প্রচার বা সমর্থন করছে। ’
‘আইসব্লক’ নামক এই অ্যাপটির নির্মাতা সফটওয়্যার প্রকৌশলী জশুয়া অ্যারন সিএনএনকে বলেন, ‘এ দেশে যা ঘটছে তা দেখার পর’ তিনি অ্যাপটি তৈরি করেছেন এবং এটিকে তার ‘প্রতিবাদের ভাষা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির আওতায় গণহারে দেশছাড়া করার প্রচেষ্টাকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘আমরা আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখছি। ’
উল্লেখ্য, এর আগে ইরানের পারমাণবিক হামলা সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়ন নিয়ে রিপোর্ট করা সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিকদের ‘অবিলম্বে’ বরখাস্তের দাবি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।