মাত্র নয়জন খেলোয়াড় নিয়েও বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী পিএসজি।
শনিবার (৫ জুলাই) আটলান্টায় অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অসাধারণ জয় তুলে নেয় ফরাসি ক্লাবটি।
৭৮তম মিনিটে দেজিরে দুয়ের গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। এরপর দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে নয়জন নিয়ে খেলা চালাতে হয় তাদের। বায়ার্ন যখন সমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছিল, তখন ইনজুরি টাইমে উসমান দেম্বেলের করা গোল নিশ্চিত করে পিএসজির জয়। এই জয়ের ফলে নিউ জার্সিতে বুধবার রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলবে তারা।
ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। প্রথমার্ধেই পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা অসাধারণ দুটি সেভ করে দলকে পিছিয়ে পড়া থেকে বাঁচান। অপরদিকে বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারও কয়েকটি দারুণ সেভ করেন।
তবে ম্যাচের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে প্রথমার্ধের শেষ দিকে। একটি বল দখলের চেষ্টায় দোন্নারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে গুরুতর আহত হন বায়ার্নের তরুণ তারকা জামাল মুসিয়ালা। মাঠেই তার বাঁ পায়ের গোড়ালি ভেঙে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়াতে হয়, আর এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়ে উভয় দলই।
পিএসজি পরে আরও চাপে পড়ে যখন উইলিয়ান পাচো ও লুকাস হার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবুও তারা ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে লড়াই করে জয় নিশ্চিত করে।
শেষ দিকে বায়ার্ন একবার পেনাল্টি পেলেও ভিডিও রিভিউর পর তা বাতিল করে দেন রেফারি। এর আগে হ্যারি কেইনের একটি গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
পিএসজির অধিনায়ক মার্কিনিয়োস বলেন, ‘দুইজন কম নিয়েও আমরা দারুণ মনোভাব দেখিয়েছি। দলের এই লড়াই এবং দ্বিতীয় গোলটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ডানপ্রান্তের ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে খেলেছি এবং জয় পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’
এই জয়ে আরেকটি আন্তর্জাতিক ট্রফির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেল পিএসজি।