‘একটা তুড়ি বাজাতে যতটুকু সময় লাগে, ঠিক তত দ্রুত সময়টা চলে গেল।’—এই কথার মধ্য দিয়েই জুলাই আন্দোলন পরবর্তী এক বছরের মূল্যায়নে শুরু হয় একটি জাতীয় টিভি চ্যানেলের সাম্প্রতিক টক শো। আলোচনায় ছিলেন প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক নূরুল কবির।
বিশিষ্ট এই সাংবাদিক ও বিশ্লেষকের আলোচনায় উঠে আসে জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাসহ নানা বিষয়।
নূরুল কবির বলেন, আন্দোলনের সময়কার দেয়াল লিখন, স্লোগান ও মানুষের ভাষা ছিল পুরনো রাজনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দেশে গণতন্ত্র ছিল না, ছিল না জবাবদিহিতা। চলত ভোটের প্রহসন, দমনপীড়ন এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি।
তবে এই সরকারের সমালোচনা করে নুরুল কবির বলেন, যে ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে, আশ্চর্যের ব্যাপার এক বছরেও সেই কোটা সিস্টেমটা কি হবে তার একটা সামগ্রিক সমন্বিত নীতি এখন পর্যন্ত তারা গ্রহণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এক বছরের মাথায় শুধু দুটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তনের উদ্যোগ—যার ফলে সংসদ সদস্যদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিছুটা বাড়তে পারে। আরেকটি হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃত্ব বিরোধী দলের হাতে দেওয়া নিয়ে ঐকমত্য।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া এই তরঙ্গ শুধু একটি ইস্যুতে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জাগরণে রূপ নিয়েছিল।
তবে এক বছর পর সেই আন্দোলনের বাস্তব ফলাফল, বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনে পরিবর্তন, এখনো দৃশ্যমান নয়।