সর্বশেষ
আওয়ামী লীগ এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: মান্নান 
ইটকাটার মেশিন থেকে শ্রমিকের দেহের অংশ উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
জাবিতে বাড়ানো হলো বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা
চুয়াডাঙ্গায় মাদক সেবন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, আটক ২
অনলাইন হাঁকডাকেই সীমাবদ্ধ লকডাউন, বাস্তব চিত্র স্বাভাবিক 
কিশোরীর আত্মহত্যাচেষ্টা, প্রেমিকের দোকানে ভাঙচুর স্বজনদের
পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে কক্ষ ভাঙচুর, ভিডিও ভাইরাল
আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ
কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে ড্রাম ভর্তি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে সতর্ক নগরবাসী
জরুরি বৈঠক ডাকল এনসিপিও
প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন
চুয়াডাঙ্গার সাবেক মেয়র ঢাকায় আটক
ধামরাই যুবদলের মোটরসাইকেল শোডাউন 
দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি কৃষি খাত: কৃষি সচিব

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ফেনী, যোগাযোগ করতে পারছেন না স্বজনরা

অনলাইন ডেস্ক

পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের আটটি জেলা। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে।

বন্যার কবলে ফেনীর সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তবে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও রয়েছে।

বুধবার রাতে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে মূহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। রাস্তা-ঘাট থেকে ঘরবাড়ি কিছুই রেহাই পায়নি বানের জলে। গলাপানিতে ডুবে দিশেহারা তিন উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। এলাকায় দুদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগ করতে পারছেন না বাইরে থাকা স্বজনরা।

গত মঙ্গলবার একজন নিখোঁজের খবর আসে। কিন্তু দুদিন পার হয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয়ও জানা যায়নি। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার।

জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে।

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, ভারতীয় পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণের মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি ভাঙা অংশ দিয়ে হুহু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। গেল মাসের মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। সেসব স্থানে জোড়াতালির মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ স্থানে ভেঙে যায়, প্লাবিত হয় ১০০টির বেশি গ্রাম। অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মাছের ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় ৩০ কোটির বেশি। ১৫ দিনের মাথায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ