সর্বশেষ
জিএম কাদের একদিনও কারাগারে যাননি, মিছিল-সমাবেশও করতে পারেননি: রুহুল আমিন
জাকসু নির্বাচন: হল সংসদের ভিপি-জিএস হলেন যারা
আবু সাঈদের মতো জীবন দিয়ে হলেও পিআর ঠেকাবে ছাত্রদল: হামিম
এখনই যুগপৎ আন্দোলন বা জোটে যাচ্ছে না এনসিপি, প্রকাশিত খবরটি ‘মিসলিডিং’
‘মাহফুজ আলমকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার ও উপদেষ্টারা’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে ১২ দিনের ছুটি, কবে থেকে?
কারফিউ প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে নেপালের জনজীবন
এবার সার আমদানিতে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয়, অযৌক্তিক মুনাফার সুযোগ বন্ধ: কৃষি মন্ত্রণালয়
ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে রায় মেনে নেওয়ার কথা বললেন ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীসহ ৩ জনের
নির্ধারিত সময়ে এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
নেইমার কেমন খেলছে দেখব না, সম্পূর্ণ ফিট হলেই চলবে: আনচেলত্তি
পদত্যাগ করলেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য ড. স্নিগ্ধা
এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ওবায়দুল কাদেরের তদবিরে রক্ষা পেলেও এবার বেরিয়ে আসছে সালমার থলের বিড়াল

গুগল ট্রেন্ডস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

গুগল ট্রেন্ডস এখন সাধারণ ব্যবহারকারীদেরও একটি জনপ্রিয় টুল। বিশ্বজুড়ে মানুষ কী খুঁজছে, কোন বিষয়গুলো হঠাৎ আলোচনায় উঠে আসছে কিংবা সময়ের সঙ্গে সার্চ ইন্টারেস্ট কীভাবে বদলাচ্ছে— এসব জানার জন্য গুগল ট্রেন্ডস দারুণ সহায়ক। গুগল ট্রেন্ডস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়ার ১৫ কৌশল কাজে লাগালে আপনি সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রবণতা খুঁজে বের করতে পারবেন।

ট্রেন্ডিং টপিক চিহ্নিত করা
গুগল ট্রেন্ডস দেখায় কোন কীওয়ার্ড বা বিষয় এখন সবচেয়ে বেশি খোঁজা হচ্ছে। সাংবাদিক, ব্লগার কিংবা কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন্ডিং টপিক বেছে নিয়ে নিউজ বা কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। এতে কনটেন্ট দ্রুত ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

অডিয়েন্সের লোকেশন অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন জায়গায় কোন বিষয় বেশি সার্চ করছে, তা সহজেই বোঝা যায়। যেমন—ঢাকা, চট্টগ্রাম আর সিলেটে একই বিষয়ের সার্চ ভিন্ন হতে পারে। তাই লোকেশনভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করলে পাঠক বা গ্রাহকের কাছে দ্রুত পৌঁছানো যায়।

সার্চ ভলিউমের ওঠানামা বুঝে নেওয়া
গুগল ট্রেন্ডস থেকে বোঝা যায়, কোন কীওয়ার্ড কখন বেশি সার্চ হচ্ছে। যেমন- “ঈদ অফার” বা “ভ্রমণ প্যাকেজ” নির্দিষ্ট সময়ে হঠাৎ বেড়ে যায়। এসব বুঝে আগে থেকে কনটেন্ট প্রস্তুত করলে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়।

কীওয়ার্ড রিসার্চে ব্যবহার করা
গুগল ট্রেন্ডস দেখায় কোন কীওয়ার্ড জনপ্রিয় এবং কোনটা ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছে। এতে করে নতুন কনটেন্টের জন্য সঠিক কীওয়ার্ড বেছে নেওয়া সহজ হয়।

সিজনাল ট্রেন্ড ধরতে পারা
কিছু বিষয় বছরে নির্দিষ্ট সময়ে বেশি খোঁজা হয়। যেমন- “পোশাক,” “রোজা,” “ক্রিকেট বিশ্বকাপ।” এসব বিষয় আগেভাগে বুঝে নিলে সময়োপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা যায়।

তাৎক্ষণিক টপিক নির্বাচন
সাংবাদিকদের জন্য গুগল ট্রেন্ডস এক অসাধারণ টুল। বর্তমানে কোন ইস্যু নিয়ে পাঠকের আগ্রহ বেশি, সেটি দেখে নিউজ তৈরি করলে বেশি রিডারশিপ পাওয়া যায়।

ইউটিউব কনটেন্ট আইডিয়া তৈরি
গুগল ট্রেন্ডসে ইউটিউব সার্চ আলাদা করে দেখা যায়। কোন ভিডিও বিষয় বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে তা দেখে সহজেই নতুন ভিডিও আইডিয়া তৈরি করা যায়।

কনটেন্ট শিরোনাম উন্নত করা
একই বিষয় নিয়ে একাধিক শিরোনাম পরীক্ষা করা যায়। গুগল ট্রেন্ডসে জনপ্রিয় শব্দ বেছে নিয়ে আকর্ষণীয় হেডলাইন বানালে সার্চ থেকে বেশি ট্রাফিক আসে।

প্রতিযোগী বিশ্লেষণ
আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কোন কীওয়ার্ডে কনটেন্ট তৈরি করছে, সেটিও ট্রেন্ডসের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। এরপর ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কনটেন্ট তৈরি করে পাঠক টেনে আনা যায়।

পণ্য বা ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা যাচাই
গুগল ট্রেন্ডস দিয়ে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা পণ্যের সার্চ ভলিউম মেপে দেখা যায় মানুষ কতটা আগ্রহী। এতে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বদলানো সহজ হয়।

কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি
ট্রেন্ডস দেখে মাসভিত্তিক বা সিজনাল কনটেন্ট ক্যালেন্ডার বানানো যায়। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কোন বিষয় বেশি ভিউ আনবে তা আগে থেকে বোঝা যায়।

ট্রেন্ড কম্পারিজন (তুলনা করা)
গুগল ট্রেন্ডসে একসাথে ৫টি পর্যন্ত টপিক তুলনা করা যায়। যেমন- “ফুটবল বনাম ক্রিকেট বনাম হকি।” এতে বোঝা যায় কোন বিষয় বেশি জনপ্রিয়।

ই-কমার্স ব্যবসায় ব্যবহার
অনলাইন ব্যবসায়ীরা গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করে কোন পণ্য বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে তা বুঝতে পারেন। যেমন- “হেডফোন বনাম ইয়ারবাড।” এভাবে নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানো
ট্রেন্ডস দেখে জনপ্রিয় কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ থেকে ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আসে। এভাবে ধীরে ধীরে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ও র‌্যাঙ্কিং বাড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট প্ল্যান
ট্রেন্ডিং টপিক অনুযায়ী পোস্ট বা রিল বানালে ফলোয়ারদের কাছে দ্রুত পৌঁছানো যায়। ট্রেন্ডস থেকে পাওয়া ডেটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে সবচেয়ে কার্যকরী।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ