সর্বশেষ
নুরকে দেখতে গিয়ে কাঁদলেন সাদিক কায়েম
সব কাজ গ্রহণ না করে মানসম্পন্ন প্রজেক্ট বেছে নিচ্ছি: ফারিণ
নির্বাচন বর্জন করে পুনঃনির্বাচন চাইল প্রগতিশীলদের চার প্যানেল
ডেঙ্গুতে একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৮৬
গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশসহ চারভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ 
জামালদের নিয়ে নেপাল ছাড়লো সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমান
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানি
ঘষা দিতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী
ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ
নুরের ওপর হামলায় সরকারের টালবাহানা মেনে নেব না: আল মামুন
বন্ধুর সহায়তায় জীবনে প্রথম ভোট দিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আইয়ুব আলী, জানালেন অভিজ্ঞতা
নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার, টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন
সিদ্ধান্ত বদল, নতুন পদ্ধতিতে হবে জাকসুর ভোট গণনা
৯/১১ হামলার বিষয়ে আগেই জানতো ইসরায়েলি গোয়েন্দারা

৭ সেপ্টেম্বর রক্তিম হবে চাঁদ, খালি চোখে দেখতে পারবে যেসব দেশ

অনলাইন ডেস্ক

২০২৫ সাল মহাকাশপ্রেমীদের জন্য আরও একটি দারুণ সুযোগ নিয়ে আসছে। বছরের দ্বিতীয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বা ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে আগামী ৭-৮ই সেপ্টেম্বর রাতে। এই মহাজাগতিক ঘটনাটি ইউরোপ, এশিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে খালি চোখে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

স্পেস.কম এর প্রতিবেদন অনুসারে, এশিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় দেখার সুযোগ মিলবে, যা এই অঞ্চলগুলোকে গ্রহণের সর্বোত্তম অবস্থানে পরিণত করেছে।

এছাড়া ইউরোপ, আফ্রিকা, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের আকাশেও গ্রহণের আংশিক দৃশ্য দেখা যাবে। তবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে এই গ্রহণটি দেখা যাবে না।

বৈজ্ঞানিকভাবে, যখন পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে সূর্য এবং পূর্ণিমার চাঁদের ঠিক মাঝখানে চলে আসে, তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এর ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকার ছায়া, অর্থাৎ প্রচ্ছায়া (Umbra), চাঁদের উপর পড়ে এবং চাঁদ সাময়িকভাবে ঢেকে যায়।

ব্লাড মুনের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এর রঙ। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে অন্ধকার অংশে (Umbra) প্রবেশ করে। তখন চাঁদে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না।

কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সূর্যের আলো বেঁকে যায় এবং লাল রঙের আলোকরশ্মি চাঁদের উপর পড়ে। এর কারণ হলো, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল নীল আলোর তরঙ্গকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে (যে কারণে দিনের আকাশ নীল দেখায়), কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গ প্রায় সোজাসুজি চলে যেতে পারে। এই লাল আলোই চাঁদের পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে, ফলে চাদকে গাঢ় লাল বা রক্তিম দেখায়।

সেপ্টেম্বরের এই গ্রহণটি হতে চলেছে একটি বিরল ঘটনা। কারণ বিশ্বের প্রায় ৭৭% মানুষ, অর্থাৎ প্রায় ৬২০ কোটি মানুষ, এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে পারবে।

তুলনামূলকভাবে, ২০২৫ সালের মার্চের গ্রহণটি প্রায় ১০০ কোটি মানুষ দেখার সুযোগ পেয়েছিল। সুতরাং, আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই অসাধারণ দৃশ্যটি উপভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ