আবু মালিক হারিস ইবনু আসেম আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অংশ। আর আলহামদু লিল্লাহ (কিয়ামতে নেকির) দাঁড়িপাল্লাকে ভরে দেবে এবং সুবহানাল্লাহ ও আলহামদু লিল্লাহ আসমান ও জমিনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ করে দেয়। নামাজ হচ্ছে জ্যোতি। সাদকা হচ্ছে প্রমাণ।
ধৈর্য হলো আলো। আর কোরআন তোমার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দলিল। প্রত্যেক ব্যক্তি সকাল সকাল কাজে বের হয় এবং সে নিজেকে নিয়ে ব্যবসা করে। অতঃপর সে নিজেকে (শাস্তি থেকে) মুক্ত করে অথবা নিজেকে (আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে) বিনাশ করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৩)
শিক্ষা : ‘পবিত্রতা ঈমানের অংশ’ ইসলামী শরিয়তের অন্যতম মূলনীতি। এর অর্থ হলো, পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের দাবি ও মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন বাহ্যিক পবিত্রতার সঙ্গে অন্তরের পবিত্রতাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেবে। হাদিসে জিকিরের পুরস্কার ও গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
নামাজ কিয়ামতের দিন মুমিনের জন্য আলো হবে। উলামায়ে কেরাম বলেন, নামাজ দুনিয়াতে মুমিনের চেহারায় উজ্জ্বল্য তৈরি করে, অন্তরে নুর সৃষ্টি করে এবং তা কবরে ও কিয়ামতের দিন নামাজিকে আলো দেবে। জাকাত ও দান মুমিনের ঈমানের প্রমাণ। জাকাত মুনাফেকি থেকে মুক্ত হওয়ারও প্রমাণ।
ধৈর্য মুমিনের সৌন্দর্য এবং প্রশংসার উপলক্ষ্য। যে ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াত করবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে, কিয়ামতের দিন কোরআন তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করবে কোরআন তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে। আর ব্যক্তি মূলত নিজের কাজের মাধ্যমেই নিজের জন্য সাফল্য বা ধ্বংস ডেকে আনে। (মাউসুয়াতুল হাদিসিয়্যা)