সর্বশেষ
ব্যাচেলর পয়েন্টে ফিরে যা বললেন তৌসিফ
জামায়াত আমিরের বাড়িতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার, নির্বাচন নিয়ে হলো আলোচনা
ডাকসু নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাগছাস, তদন্তের দাবি
এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নেমেছে নেপালের জেনজি
রোমান্টিক ফিকশনে সুনেরাহ-নাঈম জুটি
চাঁদপুরে রংভিত্তিক অটোবাইক চালানোর সিদ্ধান্ত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
নেপালে সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ
এনসিপি থেকে অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তার পদত্যাগ
কাপ্তাইয়ে হালদা নদীর মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার
চিতলমারীতে চলছে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া-নেওয়া যাবে?
শিবিরের প্যানেল থেকে জিতে যা বললেন জুমা
তুমুল বিক্ষোভের পর থমথমে কাঠমান্ডু, সড়কে সেনা টহল
পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার একটি লকার জব্দ

অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া-নেওয়া যাবে?

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্ন: অমুসলিম প্রতিবেশী থেকে রক্ত নেওয়া বা কোনো অমুসলিমকে রক্ত দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: জরুরি অবস্থায় অমুসলিমের রক্ত কোনো মুসলমানের দেহে প্রবেশ করানোতে ইসলামে বাধা নেই। একইভাবে কোনো অমুসলিমকে রক্ত দেওয়াও নিষিদ্ধ নয়।

অমুসলিম ব্যক্তিরা বিশ্বাসগত অপবিত্র হলেও শারীরিক দিক থেকে অপবিত্র নয়। আর অমুসলিমদের রক্ত দান করতে কোনো বাধা নেই; বরং মানুষ হিসেবে মুসলিম-অমুসলিম তথা সব মানুষের প্রতি উদার মনোভাব ইসলামের শিক্ষা।

এটাই মূল কথা যে মুসলিম আর অমুসলিমের রক্তে কোনো প্রভেদ নেই। তবে রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মুসলিম কাউকে পাওয়া গেলে তার রক্ত নেওয়া উত্তম।

মুফতি শফি রহ. বলেন, ‘রক্ত মানবদেহের অংশবিশেষ। দেহ থেকে নির্গত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নাপাক হয়ে যায়। আর নাপাক বস্তুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ কারণে এবং সৃষ্টির সেরা জীব মানব অঙ্গের মর্যাদার কথা বিবেচনা করে স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তদান নিষিদ্ধ হওয়ার কথা।

তবে অস্বাভাবিক অবস্থায় বিশেষত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইসলাম যেহেতু কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করেছে, তাই বিশেষ বিবেচনায় রক্তদানকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর কারণ হলো, রক্তের দেহান্তর ও অঙ্গান্তরে কোনো রকম কাটা-ছেঁড়ার প্রয়োজন হয় না; বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে খুব সহজেই তা দেহ থেকে দেহে স্থানান্তর করা যায়। যেভাবে কাটা-ছেঁড়া ছাড়া মায়ের দুধ শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়ে শিশুর দৈহিক বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।

আর শিশুকে দুগ্ধপান করানো শুধু বৈধ নয়; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যকীয়ও বটে। তা ছাড়া রক্তদান করলেও প্রাকৃতিকভাবে দেহের মধ্যে নতুন রক্তের সঞ্চার করে থাকে। অতএব যখন কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মতে, অন্যের রক্ত ছাড়া রুগ্‌ণ ব্যক্তির জীবন-মরণ সংকট সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে তাকে রক্তদান করা বৈধ। তবে রক্ত বিক্রি করা কোনো অবস্থায়ই বৈধ নয়।’

(ফিকহুল বুয়ু : ১/৩০৮; জাওয়াহিরুল ফিকহ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৪০)

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ