নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসন কমিয়ে ৩টি আসন করার প্রতিবাদে এবং ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টা হরতাল শুরু হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় সর্বাত্মক এ হরতাল কর্মসূচি চলবে।
বাগেরহাট জেলার সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন সকাল থেকে সড়কে যান চলাচল তেমন একটা হচ্ছে না। জেলার কোথাও দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। হরতালে সমর্থনে সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে তৎপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর থেকে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেছেন সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। মূলত হরতালের সমর্থনে সবকিছু অঘোষিত বন্ধ আছে।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস বলেন, আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বাগেরহাট জেলার জনগণের স্বার্থবিরোধী। তাই শান্তিপূর্ণ হরতালের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং পূর্বের ৪টি আসন বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু বলেন, নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে বাগেরহাটের ৪টি আসন থেকে কেটে একটি বাদ দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। চিতলমারী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেন, জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা হচ্ছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।