চট্টগ্রাম জেলার হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়)-এর আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে এক উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষ ‘কিন্নরী’-তে কাপ্তাই সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেলী রুদ্রের সভাপতিত্বে এবং কাপ্তাই উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হালদার অবদান অনস্বীকার্য। এই নদীর স্বতন্ত্রতা রক্ষায়, প্রজনন ক্ষেত্রের সুরক্ষায়, দূষণ রোধে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর রুই জাতীয় মাছ রক্ষায় কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলি নদীর দূষণ প্রতিরোধও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. রহমত উল্লাহ, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদ এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসতিয়াক হায়দার।
এসময় কাপ্তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. এনামুল হক হাজারী, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান আহমেদ, সহকারী তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর হারুনর রশিদ, ১১৯ নম্বর ভাইয্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা, কর্ণফুলি সরকারি কলেজের প্রভাষক আবু তালেব, রূপসী কাপ্তাই পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই প্রেসক্লাব সভাপতি কবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিজয় মারমা এবং স্থানীয় মৎস্যচাষী তপন মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।