টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জাহ্নবী কাপুর হাজির হলেন এমন এক সাজে, যা শুধু লালগালিচার মুহূর্তকে নয়, বরং ভারতীয় কারুশিল্পের এক অনন্য উদ্যাপন। আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার তৈরি একটি শিফন জামাওয়ার শাড়িতে সজ্জিত হয়ে তিনি মুগ্ধ করলেন ফ্যাশন অনুরাগীদের।
স্টাইলিংয়ে ছিলেন রিয়া কাপুর, যিনি পুরো লুকটি তৈরি করেছেন ঐতিহ্যের গভীরতা আর সমসাময়িক গ্ল্যামারের মিশেলে।
জাহ্নবী কাপুরের পরা শাড়িটি ছিল হাতে সূচিকর্ম করা, যেখানে ওয়ার্ম অটাম রঙের সুতায় ফুটে উঠেছে নকশিকাঁথার মতো জটিল ফুলেল মোটিফ।
শুধু শাড়ি নয়, তার ব্যাকলেস ব্লাউজটিও ছিল একই রকম সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা, যা লুকটিতে এনে দিয়েছে একাধারে আবেদনময়তা আর নান্দনিকতার ধারাবাহিকতা।
আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার দীর্ঘদিনের লক্ষ্যই ছিল ভারতীয় হস্তশিল্পকে নতুনভাবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা, অথচ এর মৌলিকতা ও শিকড় অক্ষুণ্ন রেখে।
জাহ্নবী কাপুরের গয়নায় ছিল কাশ্মীরি দেজহুর-এর অনুপ্রেরণায় তৈরি সিলভার ইয়াররিংস, যা সাধারণত কাশ্মীরি কনেরা পরে থাকেন, তবে এখানে নতুন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই গয়না।
এই সাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভিনটেজ সংযোজন। জাহ্নবী পরেছিলেন ৮০-এর দশকের একটি জামাওয়ার জ্যাকেট, যা পুনঃ ব্যবহার করে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে এমব্রয়ডারি করা বর্ডারে।
এর সঙ্গে যুক্ত ছিল রিয়া কাপুরের সংগ্রহ থেকে আনা একটি অ্যান্টিক জামাওয়ার শাল, যার একপাশে হাতে তৈরি রেশমি ঝালর শোভা পাচ্ছিল।
টরন্টোতে জাহ্নবী এই উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, ভারতীয় জামাওয়ার ও সূচিকর্মের মতো ঐতিহ্যবাহী টেক্সটাইল শুধু অতীতের স্মারক নয়, বরং আজও বৈশ্বিক ফ্যাশনের আলোচনায় সমান প্রাসঙ্গিক।
তার লুকটি হয়ে উঠেছিল একসঙ্গে ভিনটেজ আর আধুনিক, শৈল্পিক আর আবেদনময়।