দু’জন খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর স্বপ্ন ছিল ব্রাজিলের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির। এর মধ্যে একজন ফ্রান্সিসকো টট্টি। অবসর নেওয়ায় তাকে আর কোচিং করানোর সুযোগ নেই ডন কার্লোর। তবে অপরজনকে কোচিং করানোর সুযোগ আছে। তিনি হলেন নেইমার জুনিয়র।
সেজন্য শর্ত পূরণ করতে হবে নেইমারকেই। জাতীয় দলে ফিরতে হলে পরিপূর্ণ ফিট হতে হবে তাকে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচের মতে, আধুনিক ফুটবলে শারীরিকভাবে ফিট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এও বলেছেন, নেইমার কেমন খেলছেন তা তিনি দেখতে যাবেন না। কেবল পূর্ণ ফিটনেসে ফিরলেই হবে।
কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘অবশ্যই, নেইমার কেমন খেলছে তা আমরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে যাবো না। সবাই তার প্রতিভা ও দক্ষতা সম্পর্কে অবগত। আধুনিক ফুটবলে, তার প্রতিভার সুবিধা নিতে হলে তাকে শারীরিকভাবে খুবই ভালো জায়গায় থাকতে হবে। সে যদি শারীরিকভাবে ভালো পর্যায়ে থাকে, ব্রাজিল জাতীয় দলে ঢুকতে তার কোন সমস্যা হবে না।’
ব্রাজিল দলের বর্তমান তারকাদের সবাই একসময় নেইমারের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। রাফিনিয়া যেমন বলেছিলেন- প্রথমদিন নেইমারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। ভিনিসিয়াস-রদ্রিগোদের জন্যও অনুভূতিটা ছিল একই রকম। কার্লো জানিয়েছেন, সবাই নেইমারকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তবে ফিট অবস্থায়।
কোচও তাকে একই পরামর্শ দিয়েছেন, ‘প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে (জুনে) নেইমার টিম হোটেলে এসেছিল। আমার সঙ্গে দেখা করেছে ও কথা বলেছে। আমি তাকে বলেছি- সেরা অবস্থানে ফিরে এসে বিশ্বকাপে দলকে সহায়তা করার জন্য তোমার হাতে সময় আছে।’
নেইমার নিয়ে পরিকল্পনার কথাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কোচদের একজন কার্লো আনচেলত্তি। তার মতে, নেইমারের এখন আর উইঙ্গার (লেফট উইঙ্গ ধরে) হিসেবে খেলার সুযোগ নেই। কারণ ওই পজিশনে খেলতে হলে শারীরিকভাবে খুবই উন্নত পর্যায়ে থাকতে হয়। নেইমারকে তিনি সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার বা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে দেখছেন।
কোচ বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, তুমি স্ট্রাইকার বা মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারো। তাকে সেন্ট্রালি খেলতে হবে। সে বাইরে খেলতে পারবে না, কারণ আধুনিক ফুটবলে ওই পজিশনে খেলতে শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। সে স্ট্রাইকার কিংবা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে কোন সমস্যা ছাড়াই খেলতে পারবে।’