জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি বা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদি কেউ কারচুপি বা জালভোট প্রমাণ করতে পারে, আমি পদত্যাগ করব, এমনকি আমার পেনশনের টাকাও নেব না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জন করেছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। কারো ইচ্ছে হলে বর্জন করবেন, আবার কারো ইচ্ছে হলে গ্রহণ করবেন। এটি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।’
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোনো দাপ্তরিক পদত্যাগপত্র আসেনি। তাই এ বিষয়ে আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাভ-লোকসানের হিসাব দেখে আমরা ভোট গণনার কাজ করছি না। জাকসুর নিজস্ব বিধি রয়েছে, আমরা কেবল সেই বিধি অনুসরণ করে কাজ করছি।’
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭৮২ জন। এবার প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৭টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি আছে মাত্র চারটি হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভোট গণনা চলছে।