‘একদিনও কারাগারে যাননি, বড় কোনো মিছিল-সমাবেশও করতে পারেননি’—জি এম কাদের প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তথা ‘জুলাই বিপ্লব’ এবং সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বড় শিক্ষা। তার ভাষায়, ‘রাজনীতিতে যদি দম্ভ, অহংকার, প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার চর্চা থাকে, তবে পতন অনিবার্য।’
শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় হাওলাদার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মানুষের মন জয় করতে হলে ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে হবে। আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য সময়োপযোগী ও গঠনমূলক রাজনীতি প্রয়োজন। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার আরও যোগ করেন, ‘যে রাজনীতিতে থাকবে না কোনো ব্যক্তিস্বার্থ, থাকবে কেবল দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ—সেই রাজনীতিই টিকে থাকবে।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মনে করেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ‘মানুষের ভালোবাসার জয় হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা সাজানোর প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে দেশের সকল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হলে ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র। কর্তৃত্ববাদ পরিহার করে দলকে নিয়ে যেতে হবে তৃণমূলে। যদি মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা যায় তাহলে জাতীয় পার্টিকে এদেশের মানুষ আবারো ভালোবেসে আলিঙ্গন করে নেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘৩৫ বছর আমরা রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে। জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছি। মাঝে মাঝে রাজনৈতিক কৌশলের কারণে অন্য কোনো দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতে পারে। কিন্তু দলীয় প্রতীক লাঙ্গল আমাদের নির্বাচিত নেতৃত্বের হাতেই থাকবে।’
রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন, জি এম কাদের ভাই সূত্রে এরশাদের দলের চেয়ারম্যান হলেও ‘একদিনও কারাগারে যাননি, বড় কোনো মিছিল-সমাবেশও করতে পারেননি।’
হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি সব নিয়ম মেনে সম্মেলন সম্পন্ন করেছে এবং এখন চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বেই লাঙ্গল প্রতীক থাকবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাশরুর মাওলা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির আহবায়ক শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, সদস্য সচিব মাসুক রহমান, নির্বাহী সদস্য আফতাব গনি, মেহেবুব হাসান, মোহাম্মদ সেলিম, মোতালেব হোসেন, ইদি আমিন অ্যাপোলো, মোঃ মোয়াজ্জেম, মো: ইসরাক, মোঃ নাসির, মোঃ রিপন ও মোহাম্মদ মাসুম প্রমুখ।