সর্বশেষ
সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
আবারও কেন বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর?
যে মেলায় মেলে পছন্দের জীবনসঙ্গী
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
টাকা খরচ করে এমপি হতে চায় ব্যবসা করার জন্য: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ময়মনসিংহ বিভাগে তরুণদের মধ্যে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে যারা
বাচ্চা নিয়ে সেঞ্চুরি করতে চান পরীমনি!
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত
১ পেনাল্টি নিতে হলো ৩ বার, ৩ বারই ‘সেভ’ দিয়ে দলকে জেতালেন তিনি
দেশের বাজারে আজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
ফের সবজির বাড়তি দাম, নাকাল ভোক্তা
জাহ্নবী আমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিল: বরুণ ধাওয়ান
খোলামেলা মন্তব্য করে বিপাকে পাকিস্তানি অভিনেত্রী
ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা
টানা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

আবারও কেন বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর?

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর বা আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে টানা চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও সম্পূর্ণ ধর্মঘট চলছে। এ সময় সহিংসতায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

সরকার একটি আলোচনাকারী কমিটি গঠন করে বৃহস্পতিবার রাজধানী মুজাফফরাবাদে পাঠিয়েছে। তারা জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির (জেএএসি) সঙ্গে আলোচনা করবে। এই কমিটিই বর্তমানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

শওকত নবাজ মীরের নেতৃত্বে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে কয়েকটি জেলার জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, সরকার তাদের ৩৮ দফা দাবির ব্যাপারে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে—ফ্রি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, কর ছাড়, কর্মসংস্থান, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সুবিধা বাতিল এবং শরণার্থীদের জন্য আইনসভায় সংরক্ষিত ১২ আসন তুলে দেওয়া ইত্যাদি।

২০২৩ সালের মে মাসে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য ও গমের সংকট নিয়ে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়। এরপর থেকে আন্দোলন ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়ে ওঠে। ২০২৪ সালের মে মাসে মুজাফফরাবাদের দিকে লং মার্চ করলে সহিংসতায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভর্তুকি দিয়ে ময়দার দাম কমানো ও বিদ্যুতের দাম হ্রাসে সম্মত হন। তবে এবার আন্দোলনের বিষয়বস্তু আরও বিস্তৃত।

সরকার বলছে, অধিকাংশ দাবি পূরণ করা হয়েছে। তবে শরণার্থীদের সংরক্ষিত আসন এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবদুল মজিদ খান বলেন, সব কিছু রাতারাতি সম্ভব নয়। অনেক দাবির জন্য ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন দরকার।

স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। তবে জেএএসি এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় আলোচনা চলছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সমাধানে আসতে পারছে না উভয় পক্ষ। সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, আলোচনায় অগ্রগতি হলে শিগগিরই ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা পুনরুদ্ধার করা হবে।

সূত্র: আল-জাজিরা

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ