মদ, গাঁজা বা তামাকজাত দ্রব্যের নিয়মিত সেবন করেন অনেকে। তবে যাই হোক না কেন, কোনও কিছুর নেশা ভাল না। ঠিক তেমনই আরেক নেশা হল ইন্টারনেটের নেশা। আপাতভাবে কোনও ক্ষতি নেই মনে হলেও নেশা কিন্তু মদ বা সিগারেটের নেশার থেকেও ক্ষতিকর।

৮ থেকে ৮০ সবাই এখন বুঁদ হয়ে থাকে স্মার্ট ফোনের দুনিয়ায়। এমন কোনও কাজ নেই, যা এখন মোবাইলের সাহায্যে করা যায়। পৃথিবীটা যেন সত্যিই ছোট হতে হতে এখন মুঠোফোনেতে বন্দি।

একবার আসক্ত হয়ে পড়লে, এই জাল কেটে বেরোনো খুব শক্ত কাজ। দিনের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কেবল মোবাইল হাতে নিয়ে বসে থেকেই। তাই বিপদ আরও বাড়ানাড়ি হওয়ার আগে নিজের সাবধান হওয়া উচিত। কী ভাবে বুঝবেন আপনি ইন্টারনেট আসক্ত।

দিনভর যে কাজই করুন না কেন, মন যদি মোবাইলেই পড়ে থাকে, তবে সতর্ক হতে হবে। কাজের ফাঁকে টুকটাক মোবাইলে কিছু দেখা এক রকম, কিন্তু যদি সারা দিনে মোবাইল ঘাঁটাঘাটির চোটে কাজই কম হলে, সময় থাকতেই সাবধান হতে হবে।

ক্রমাগত যদি মাথায় চলতে থাকে সমাজমাধ্যমে যে পোস্টটা করেছেন তাতে কত জন লাইক করল, কত জন দেখল, তবে ভেবে দেখুন, সামান্য জিনিস নিয়ে এত বেশি ভাবনা স্বাভাবিক নয়!

অন্য কোনও কাজেই যদি মন না বসে, কেবল মোবাইল নিয়ে বসে থাকেন, তা হলে বুঝতে হবে ধীরে ধীরে আসক্তির দিকে বিষয়টা এগোচ্ছে।

বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়েও যদি নেটদুনিয়ার আকর্ষণ বেশি হয়, সেই টান এড়ানো সম্ভব না হয়, তা হলেও বুঝবেন আপনার নেট আসক্তি বাড়ছে।

তাই সময় থাকতে এই আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার পিছনে সচেতন হন। মোবাইল ছাড়া ভাল লাগার অন্য বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিন। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান, সময় কাটান। পরিবারের অন্য মানুষগুলিকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। দিনে বেশ কিছুটা সময় শরীরচর্চা করুন, তবে মোবাইল দেখে নয়।