বর্ষাকালে বাজারে কাঁকরোল দেখা গেলেও অনেকেই এই সবজিকে পাত্তা দেন না। অথচ এই ছোটখাটো সবজির আছে দারুণ সব স্বাস্থ্য উপকারিতা! কাঁকরোল শুধু খেতে সুস্বাদুই নয়, বরং এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, লিভার সুরক্ষা ও চোখের যত্নসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই কাঁকরোল খাওয়ার ৫টি উপকারী কারণ—
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিস আছে বা রক্তে চিনি বেড়ে যাচ্ছে? তাহলে কাঁকরোল হতে পারে আপনার প্রাকৃতিক সহায়ক। এতে ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট কম, কিন্তু ফাইবার অনেক বেশি। তাই এটি রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করতে সাহায্য করে। এমনকি কিছু গবেষণা বলছে, কাঁকরোল ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতেও পারে।
লিভার রাখে কর্মক্ষম
প্রতিদিন শরীর পরিষ্কার ও বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলার কাজ করে লিভার। কাঁকরোলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান লিভারের এই কাজকে সহজ করে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
প্রদাহ ও ব্যথা কমায়
জয়েন্টে ব্যথা, হালকা জ্বর বা শরীরে অস্বস্তি? কাঁকরোলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও স্যাপোনিন শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করতে পারে।
হৃদযন্ত্র ও কিডনির যত্নে সহায়ক
কাঁকরোলের প্রাকৃতিক ডিউরেটিক (মূত্রবর্ধক) গুণ অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায় এবং কিডনির উপর চাপ কমায়। পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টের সুরক্ষা বাড়ায়।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
ভিটামিন এ-এর ভালো উৎস কাঁকরোল। এটি চোখকে সুরক্ষা দেয়, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা বা বয়সজনিত চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
পরামর্শ : যারা স্বাস্থ্য সচেতন, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিংবা শুধু ভালোভাবে বাঁচতে চান— তাদের জন্য কাঁকরোল হতে পারে চমৎকার এক সবজি। ভাজি, ভর্তা বা ঝোল— যেভাবে খুশি খেতে পারেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকতে চাইলে প্লেটে জায়গা দিন কাঁকরোলকে!









