সর্বশেষ
বিএনপির ২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
অ্যাটকোর নতুন মহাসচিব হলেন একুশে টিভির আব্দুস সালাম
একই বাসে মাঠে যাওয়া, হ্যান্ডশেক কোলাকুলিতে উচ্ছ্বসিত ভারত-পাকিস্তান
‘ওরা টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে : নুরুল হক নুর
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার ভবিষ্যতে আরও একটি ধাক্কা?
শেখ হাসিনার সাজার রায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে
বিবাহবার্ষিকীর দিনে ফাঁসির রায় পেলো শেখ হাসিনা
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি: হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় ঐতিহাসিক 
৩২ নম্বরে আনা বুলডোজার ফেলে পালিয়েছে চালক
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা জানাল আ.লীগ
জকসুতে ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ
‘ব্যাংক লুটের টাকায় ককটেল কিনছে আ.লীগ’
দুটি অপরাধে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড, একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ৭ আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার এবং ১০ শিল্প গ্রুপের পাচার করা অর্থ উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে স্বনামধন্য সাতটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে, যারা পাচার করা অর্থ উদ্ধার করতে পারবে। পাচার অর্থ দেশে আনতে পারলেই তারা কমিশন হিসেবে কিছু অর্থ নেবে।

আজ সোমবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় পাচার করা অর্থ উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত গভর্নরের উপদেষ্টা ফারহানুল গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক মফিজুর রহমান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সভায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের পাশাপাশি আরও ১০ শিল্প গোষ্ঠীর অর্থ পাচারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বিএফআইইউ। ১০টি গ্রুপ হলো এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। এর বাইরে আরও যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসব অর্থে গন্তব্য কোথায় তা–ও জানানো হয়। এ জন্য অন্য দেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকেও একই পথ অনুসরন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক নেতৃত্ব দেবে, অন্য ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এরপর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সভা শেষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এমডি মতিউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যেসব অর্থ পাচার হয়ে গেছে, তা ফেরাতে হবে বিদেশে প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়েই। তাদের সঙ্গে চুক্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা টাকা আনতে পারলে একটা অংশ কমিশন হিসেবে নেবে। এখন ব্যাংকগুলো সেই পথ অনুসরন করবে।

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার হয়েছে, তা উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আবার ব্যাংকগুলো নিজস্ব চিন্তায় যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থাকে, যারা পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে বলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে প্রাথমিকভাবে চুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হলে তারা ডকুমেন্ট নিয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারবে—কোন সম্পদ উদ্ধার করা যাবে, কোনটি যাবে না।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ