৩১ অক্টোবর ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন আর নেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। তবুও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টিকিট সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এখনও সেই বিস্ফোরক ম্যাচ শুরু হতে তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগেই কিন্তু পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে।
এশিয়া কাপ দেখেছে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব। ফাইনালে তিলক ভার্মা দেখিয়েছেন তিনি একাই ম্যাচ বের করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেক, সূর্যদের অগ্নিপরীক্ষা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট মানেই দুর্দান্ত সব লড়াই। এবারের সিরিজেও সেরকমই কিছু দেখা যাবে বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে রোহিত শর্মাকে নিয়ে কালি খরচ হচ্ছে প্রচুর। একদিনের ক্রিকেটেও নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন শুভমন গিল। যার ফলে ২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে। শেষপর্যন্ত তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের আগে শুভমনকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দলের সংস্কৃতি নষ্ট করতে চায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অজিত আগারকর স্পষ্ট জানিয়ে তিনজন অধিনায়ক তত্ত্বে বিশ্বাসী নয় তাঁরা। তিন ফরম্যাটে তিন নেতা থাকা সম্ভব নয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্বাচকরা রোহিতকে নিজের মর্জি মতো চলতে দিতে চায়নি। তাঁদের ভয়, সেটা দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বোর্ডের এক সূত্র বলেন, ‘রোহিতের পর্যায়ের একজন অধিনায়ক থাকলে ড্রেসিংরুমে ওর দর্শন চলবে। তবে ও শুধু একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলবে। যে ফরম্যাট সবচেয়ে কম খেলা হয়। যা দলের সংস্কৃতি নষ্ট করতে পারে।’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, হেড কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় মাস কিছুটা ব্যাকসিটে ছিলেন গৌতম গম্ভীর। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ হারের পর হস্তক্ষেপ করেন গম্ভীর। বোর্ডের সূত্র বলেন, ‘হেড কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ছয় মাস গম্ভীর টেস্টে এবং একদিনের সিরিজে খুব একটা হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর মাথা ঘামাতে শুরু করেন।’ অস্ট্রেলিয়ায় গিলের নেতৃত্বে খেলবেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। তবে ২০২৭ বিবাকাপ পর্যন্ত দুই মহাতারকা টানতে পারবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। দুই তারকার ফর্মের ওপর সেটা অনেকটাই নির্ভর করবে। বোর্ডের সূত্র জানান, ‘এটা গম্ভীর এবং আগরকরের যৌথ উদ্যোগ। দু’বছর পরও ফর্মের শীর্ষে থাকা ওদের জন্য কঠিন হবে। দু’জনেরই বয়স তখন প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি হয়ে যাবে। যদি রোহিত এবং বিরাটের ফর্ম হঠাৎ পড়ে যায়, সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে পারে নির্বাচকরা। দলের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হবে।









