ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের আওতায় গাজায় যে আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে কোন দেশের সেনারা অংশ নেবে—সে সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের
রোববার (২৬ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করি। কোন বাহিনী আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য, সেটি ইসরায়েলই নির্ধারণ করবে। আমরা সবসময় এভাবেই কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও গ্রহণযোগ্য। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন কর্মকর্তারাও তা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা গাজায় সেনা পাঠাবে না। ফলে সেখানে পাঠানো আন্তর্জাতিক বাহিনীতে থাকতে পারে মিশর, ইন্দোনেশিয়া ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সেনারা। তবে কোন দেশ এতে যোগ দেবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের আওতায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে এবং পরবর্তী ধাপে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্প্রতি নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি গাজায় তুরস্কের কোনো ভূমিকা মেনে নেবেন না। কারণ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইসরায়েল যেসব দেশের সেনাদের নিয়ে স্বস্তি বোধ করবে, কেবল সেসব দেশকেই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।







