ফ্যাশনের জগতে এক নতুন অধ্যায় শুরু করলেন রাশমিকা মান্দানা। ২০২৫ সালে সোয়ারভস্কি-এর ভারতের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর, এবার তিনি প্রথমবারের মতো হাজির হলেন প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক আয়োজনে। ‘আলোর উৎসব’ নামে পরিচিত ‘মাস্টার্স অব লাইট’ প্রদর্শনীতে হাজির হন এই ভারতীয় গ্ল্যামার কুইন।
এ ছিল আলো, শিল্প আর আভিজাত্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী সোয়ারভস্কি এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছে সিনেমা ও মঞ্চ জগতের সৌন্দর্য ও ঝলমলে ইতিহাস।
গৌরব গুপ্তর নকশায় আধুনিক রাজকন্যা

রাশমিকার পরনে ছিল ভারতীয় নকশাকার গৌরব গুপ্তর তৈরি এক অনন্য পোশাক। রুপালি ধূসর ও কালো রঙের পাপড়ি-নকশার করসেট গাউন। নিচের অংশে মৃদু ভাঁজ, আর বক্ষভাগে ফুলের পাপড়ির মতো শিল্পিত বাঁক। যেন পুরোনো হলিউডের গ্ল্যামার আর আধুনিকতার নিখুঁত সংমিশ্রণ।
তিনি নিজের উপস্থিতি সম্পূর্ণ করেছেন সোয়ারভস্কির ক্রিস্টাল অলংকারে। মাল্টিলেয়ার মালা, চকচকে কোমরবন্ধ, আর গলার কাছে ঝলমলে পাথর। চোখে গাঢ় ছায়া, চুল খোঁপায় টানা। সব মিলিয়ে এক আত্মবিশ্বাসী, রাজসিক রূপ।
আঙুলের ঝলক, গুঞ্জনের ঝড়

রাশমিকার শেয়ার করা এক ছোট ভিডিও মুহূর্তেই এখন আলোচনায়। সেখানে দেখা যায় তাঁর আঙুলে ঝলমল করছে একটি আংটি। দর্শকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, এ কি তাঁর বাগদানের আংটি।
রাশমিকা যদিও কোনো উত্তর দেননি, তবু তাঁর উপস্থিতিই যেন সবচেয়ে জোরালো বার্তা। তিনি নিজের আলোয় উজ্জ্বল।
আলো, নান্দনিকতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক

‘মাস্টার্স অব লাইট’ আয়োজন শুধু ঝলমলে পোশাক বা গয়নার প্রদর্শনী নয়, এটি আসলে আত্মবিশ্বাস ও সৌন্দর্যের উদ্যাপন। রাশমিকা সেখানে একাধারে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধি, আবার আধুনিক নারীর শক্তি ও স্বাতন্ত্র্যের প্রতীক। তিনি বলেছেন, “সোয়ারভস্কি আমার কাছে চিরন্তন আভিজাত্য আর আবেগের প্রতীক।”









