সর্বশেষ
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হতে চলছে গামিনি অধ্যায়
রোহিত-কোহলিকে পিছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে বাবরের ইতিহাস
ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস
প্রতিদিন ২টি খেজুর খেলে আপনি যে ৫টি উপকার পাবেন
পাল্লা দিয়ে আবেদন ছড়াচ্ছেন টালিউডের তিন কন্যা
ব্রাইডাল আমেজের তিন লুকে ঝলমল করছেন কেয়া পায়েল
রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট শনিবার বন্ধ
বন্ধ হচ্ছে অবৈধ ফোন! আপনার ফোনটি কি বৈধ, বুঝবেন যেভাবে
দিনভর ব্যস্ত থাকতে হবে ক্রীড়াপ্রেমীদের
মুসলিম স্পেনে চামড়া শিল্পের বিকাশ
আরিফুল-মুক্তাদিরের মধ্যে কে হচ্ছেন ধানের শীষের কাণ্ডারি
জুলাই সনদ নিয়ে প্রতারণা সহ্য করা হবে না: রাশেদ খাঁন
বান্দরবানে ৬ রিসোর্টকে সাত লাখেরও বেশি জরিমানা
‘পানি জাহাঙ্গীরের’ বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচার মামলা
এপেক সম্মেলনে ভাষণ দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং

৭ দাবি না মানলে কাল থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীকাল শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামার ও উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই খাতটি ধ্বংসের মুখে থাকায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে, যার মধ্যে ৪০% নারী ও ৬০% শিক্ষিত বেকার যুবক।

বিপিএ জানিয়েছে, সরকারের নীরবতা ও কর্পোরেট সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ফিড উৎপাদনের মূল কাঁচামাল যেমন সয়াবিন মিল, ভুট্টা, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন প্রিমিক্সের দাম টানা ৩ বছর ধরে নিম্নমুখী থাকলেও বাংলাদেশের বাজারে এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বিপিএ অভিযোগ করেছে, দেশে কয়েকটি কর্পোরেট সিন্ডিকেট একচেটিয়া ফিডের বাজার দখল করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, যার ফলে ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। এর ফলে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ক্ষতির মুখে পড়ে টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন এবং দেশের সবচেয়ে বড় এই কৃষিভিত্তিক খাতটি আজ ভয়াবহ সংকটে।

এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং পোলট্রি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে বিপিএ ৭ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। বিপিএ-এর ৭ দফা দাবিগুলো হলো:

১. কর্পোরেট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ফিড, বাচ্চা, মেডিসিন ও ভ্যাকসিনের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করতে হবে।
২. কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত, ন্যায্য ও স্বচ্ছ বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
৩. প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. ফিড, বাচ্চা ও ওষুধের বাজারে নিয়মিত অডিট ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৫. উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ১০% লাভ যুক্ত করে ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম নির্ধারণ করতে হবে।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিতে হবে।
৭. নীতিনির্ধারণী পর্যায় দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্পোরেটপন্থী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ