সর্বশেষ
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহত বেড়ে ছয়
মুক্তি মিলছে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দির
‘যে কোনো মূল্যে নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করবে ইরান’
বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে শুকরিয়া নামাজ আদায় করলেন ফজলে হুদা বাবুল
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য
বাংলাদেশের হাসপাতালের সেবা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন নিগার সুলতানা
আবারও পড়লো স্বর্ণের দাম
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মিশরের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা এনসিপির
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান
সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
খাদ্যনালী শুকিয়ে যায় যে কারণে, করণীয় কী?
সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ১০ উপকারিতা
শেষ সিনেমায় সালমান শাহর পারিশ্রমিক কত ছিল?
তাওবায় আত্মার নবজন্ম হয়

শেষ সিনেমায় সালমান শাহর পারিশ্রমিক কত ছিল?

অনলাইন ডেস্ক

সালমান শাহ অভিনীত শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বুকের ভেতর আগুন’। ছটকু আহমেদ পরিচালিত সিনেমাটিতে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শাবনূর। সিনেমাটির জন্য এ অভিনেতা নিয়েছিলেন সে সময়ের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক, দুই লাখ টাকা, এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক ও সিনেমাটির প্রযোজক ছটকু আহমেদ। তবে এ সিনেমার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি সালমান।

গল্পের কিছুটা পরিবর্তন এনে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় ফেরদৌস আহমেদকে। সালমানের মৃত্যুর এক বছর পর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই সিনেমা দিয়েই শেষ হয় সালমানের সেলুলয়েড সফর। মৃত্যুর সময় সালমানের হাতে তখন অনেকগুলো ছবির কাজ।

কিছুর ডাবিং চলছিল, কিছুর শুটিং শেষ দিকে, আবার কিছু একেবারে মাঝপথে। মোট পাঁচটি ছবির শিডিউলে ঘুরেফিরে অভিনয় করছিলেন তিনি। মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ পর ১৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ছটকু আহমেদের পরিচালিত ‘সত্যের মৃত্যু নেই’। নির্মাতাদের পরিকল্পনা ছিল সালমানের জন্মদিনের ছয় দিন আগে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার এবং সেটাই হয়েছিল।
কিন্তু সিনেমা মুক্তির আগেই না-ফেরার দেশে চলে যান নায়ক।

একদিকে মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ আর অন্যদিকে অসম্পূর্ণ ‘বুকের ভেতর আগুন’। সময়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল নির্মাতা ছটকু আহমেদের। সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘সিনেমা মুক্তির প্রায় দুই মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পোস্টার, ব্যানার প্রস্তুত করে জেলায় জেলায় পাঠিয়েছিলাম। সিনেমার প্রমোশনে যাওয়ার শিডিউলও দিয়েছিলেন সালমান। কিন্তু মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ হয়ে যাই। এমন কিছু হয়ে যাবে, কল্পনাও করতে পারিনি।’

অভিমান নিয়ে সোহান সেদিন বলেছিলেন, ‘তাদের বলে দিয়ো, আমি সালমান শাহ আর মৌসুমীকে কোনো টাকা দিই নাই।’

সালমানের মৃত্যুর পর এক বছর পর্যন্ত মুক্তি পেতে থাকে তাঁর অভিনীত ছবিগুলো। ১৯৯৭ সালে সালমানের একেকটা ছবি মুক্তি পাওয়া মানেই ছিল প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় আর সিনেমা শেষে ভেজা চোখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে আসা। ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো ছবিগুলো দর্শকের প্রিয় নায়ক হারানোর কষ্টকে সেই বছর আরো গাঢ় করে তুলেছিল।

যে ছবিগুলো সালমান শেষ করে যেতে পারেননি, যেমন— ‘বুকের ভিতর আগুন’, ‘প্রেম পিয়াসী’, সেগুলো নির্মাতারা শেষ করেছেন অন্য অভিনেতা ও ডামিশিল্পীদের সহায়তায়। কিন্তু কিছু দৃশ্যে ছায়া চরিত্র থাকলেও দর্শকরা সেখানেও সালমানকেই খুঁজে পেয়েছিলেন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ