অতি সত্য ‘গোপন’ কোনোমতে যত্রতত্র লুকায়ে
নবীন চোখের গহ্বরে ফ্যালে কিম্ভূত
সংস্পর্শীয় অসুখ।
ঘুমের জামা পরে আসে পরম্পরার এই অসুখ;
নরমে নরমে গাঁথে নখর
কতোদূর আর যাবে, অসুখ তো আমার গাত্রবর্ণে।
অনুক্ত অভিযোগ যতো ছিল তোলা রাখা,
এক এক করে নামছে সমঝদার পেয়ে।
ক্ষীণ এই এক প্রাণেই জমিয়ে তুলছে
গত হাজার প্রজন্মের কৃতকর্মের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া।
দরিদ্র কবিতা
বেদনাহীন দুপুরে,
বেদনাহীন আকাশ।
গতকালের ধোঁয়া নেই
জ্বরতাপে ভেসে গেছে রাতের চাঁদ।
একটা চন্দ্র-জরাহীন আকাশ
দুপুরে রোদবুকে পাথর পোড়া গন্ধ
তুমি আমি পুড়েছি ,সে তাপের আভাস।
সমস্ত বেদনা পুড়ে গ্যাছে
যা আছে তা বোকা ক্যানভাস-
শরীর আমার এই বোকা ক্যানভাস
শরীর তোমার এই বোকা ক্যানভাস
বাকি যা সব চুষে নিয়ে গেছে তপ্ত আকাশ।
একটা বার্তাহীন দুপুরে
বেকার আকাশ। রোদের দুর্গম রোগ আছে
আছে মন পোড়া রঙ চুরির অভ্যাস।
বিস্মৃত দর্শন
কিয়দংশ ভাঙা, ক্ষয়ে খোয়ানো তত্ত্ব
যা এককালে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল,
মনে করতে চাওয়ার হাপিত্যেশ আর
স্নায়বিক চাপ নিয়ে দর্শনেরা নিজস্ব ক্ষুধায়
আবার জাগতে চাইছিলো।
তবে আমি দর্শন দিলাম উপরে, এবং
ওঃ মেঠো মাটি, তোমার সমীপে;
কী কী দেখো এতো বুড়ো জীবন কালান্তরে?
বিভ্রাট তো এই-
আকাশ দেখে মাটি পুরো ঢেকে গেছে
মখমলি পাঁপড়িওয়ালা ফুলে
এদিকে মাটি বুক চিতে-
দেখে আকাশ সেজেছে তারই সৃজিত দলে।
পোকাদের ঈশ্বর দর্শন হলো না বলে,
তারা দলভঙ্গ হয়ে গেছে বোধহয়।
নতুনের জন্যে
ভাবনায় আছ, মানছি। ঠিক অবিকল
প্রথম সাক্ষাতের মুখ, মায়া। কিন্তু
কিছু হলেও পরিবর্তন এসেছে নিশ্চিত জানি।
বিবাদ অথবা দ্বন্দ্বের নিয়মে, পোষা গাছ
আর বনের ঝাউ একই স্বপ্ন বিকোয় না যেমন
ঠিক তেমন, সর্ব মনের কর্তৃত্ব হারিয়েছ।
ততখানি জুড়ে আছ, মনের আর যা-
নতুনের জন্যে নির্বিচারেই হয়েছে পুনরায় বরাদ্দ।
অগোচরে
যারা কখনোই সাড়া দেয়নি
ছিল স্পর্শ-সীমার বাইরে
আজ তাদেরই সৎ লাগে।
তাঁরা ঝিঝি পোকার মতো ভালো
তাঁদের দৃষ্টি-প্রভা স্মরণে মাথা হয়ে আসে অবনত।