সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। আজ-কালের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু হবে। দুদকের মুখপাত্র মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক সূত্র জানায়, কামরুল ইসলাম আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম কিনে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। রাজধানীর ৪৮/১, আজগর লেনে ৪ তলা বাড়ি, মিরপুর আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট, মিরপুর হাউজিং এস্টেটে ৪ কাঠা জমি, নিউটাউনে ১০ কাঠা জমি এবং দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি রয়েছে কামরুলের। তিনি এবং তাঁর অন্য আত্মীয়রা নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার সাবেক মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, মেজবাহ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন।
নেত্রকোনার মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদারের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক।