সর্বশেষ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্যারোডি পোস্টারে হলিউড অভিনেতা ভিন্স ভন
চাঁনখারপুলে হত্যাকাণ্ড : ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল
পেস তাণ্ডবে টাইগারদের স্বস্তির সকাল
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব সোনায়, দামে নতুন রেকর্ড
দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
ভারতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স, আজই মোদির সঙ্গে বৈঠক
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩
সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদ যেন প্রতিষ্ঠা না পায় : আলী রীয়াজ
ফ্যাসিবাদী শক্তি রুখে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ: নাহিদ
তারল্য সংকটে ব্যাংক খাত, বাজেট ঘাটতি মেটাতে বেকায়দায় সরকার
জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে জনশক্তি রপ্তানি ছাড়াও যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে
সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন, চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে সরাসরি ভোট না করার সুপারিশ
কানাডায় এক দিনে রেকর্ড ২০ লাখ আগাম ভোট

ছাত্র আন্দোলন সফল হবার পরে দেশে নতুন করে বৈষম্য শুরু হয়েছে: জি এম কাদের

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের অভিযোগ করেছেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হবার পরে দেশে নতুন করে বৈষম্য শুরু হয়েছে।”

আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় পার্টির বনানীস্থ কার্যালয়ে অনলাইন কর্মীদের সঙ্গে এবং ঢাকা বিভাগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার থাকবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশবাসীর মাঝে বৈষম্য তৈরি করেছে, এবং যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল তাদের জন্য এক নিয়ম, আর বাকি সবার জন্য ভিন্ন নিয়ম চালু করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ায় আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ায় আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তবে আন্দোলনের পর দেশে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন যে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৩৩ জন নেতা-কর্মীর নামে ১১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং এর মধ্যে অনেকেই কারাভোগ করেছেন। এই অন্যায় আমরা মেনে নেবো না।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পাটি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ২০২৪ সালে যখন চাকরিতে কোটা বিরোধী “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন” শুরু হয়, তখন থেকেই জাতীয় পার্টি আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ১ জুলাই ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন শুরু করে, ৩ জুলাই দ্বাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপণী বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ গঠন প্রক্রিয়া ধংস করা হচ্ছে। যে কোন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি কখনই মঙ্গল বয়ে আনে না। আমরা যেনো ভুলে না যাই, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এদেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জয়ী হতে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীতেও জাতীয় পার্টি সক্রিয় অংশ নিয়েছে। জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা-কর্মীরা ব্যানার নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে। আন্দোলনে উত্তর খান থানা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি নাজিম উদ্দীন ভুঁইয়ার ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান অলিদ ও উত্তর খান থানা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হালিমের ছেলে মাশরাফি হোসেন ৫ আগস্ট সকালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, জাতীয় পার্টি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা শহীদ হয়েছেন, অনেকে জেল খেটেছেন। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাবে যৌথসভা করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। সারাদেশের নেতা-কর্মীদের ছাত্রদের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। অথচ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতাদের আসামী করা হচ্ছে। এই অন্যায় আমরা মেনে নিতে পারি না, আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবোই।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, বেড়েছে বেকারত্বের সমস্যা। দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে চাই, যাতে তারা গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন শুধু নয়, একটি পরিবর্তিত রাষ্ট্র কাঠামো ও সংশোধিত শাসন ব্যবস্থা উপহার দিতে পারে। কিন্তু, এই সময়ের মধ্যে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও খাওয়া-পরার ব্যবস্থা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ৭ জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক খান মো. ইসরাফিল খোকন, গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মন্ডল, গাজীপুর মহানগর আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব শেখ মাসুদুল আলম টিটু, নরসিংদী জেলার সভাপতি ওমর ফারুক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু হাসনাত মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সানাউল্ল্যাহ সানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল, মানিকগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. হাসান সাঈদ, মুন্সিগঞ্জ জেলা সভাপতি আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্যাহ সেলিম।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, মনিরুল ইসলাম মিলন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এ্যাড. নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আব্দুল হান্নান, এমএ রাজ্জাক খান, মাসুদুর রহমান মাসুম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম যাদু মিয়া, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা মো. সামছুল হুদা মিয়া, জাকির হোসেন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, মো. মাহমুদুল হক মনি, মো. সোলায়মান সামি, এ্যাড. এমএ ওয়াহাব, অর্ণব চৌধুরী, মেহেদী হাসান শিপন, আব্দুর রহিম, নাজমুল রেজা, খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ