সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

আমিরাতে সাধারণ ক্ষমায় বাংলাদেশিদের সাড়া নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সরকার ঘোষিত দুই মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হতে চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিনা জেল ও জরিমানায় দেশে ফেরার বা বৈধ হওয়ার সুযোগ দিলেও আশানুরূপ সাড়া দেননি বাংলাদেশিরা।

আবুধাবি দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর হাজরা সাব্বির হোসেন জানিয়েছেন, এ সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি তাদের অবস্থান বৈধ করেছেন। যারা দূতাবাস, কনস্যুলেট, ইমিগ্রেশন সেন্টার, তাসহিল বা আমের সেন্টারে এ সুযোগ নিতে গিয়েছেন, তাদের ৯৫ শতাংশ বৈধতা চান, মাত্র ৫ শতাংশ দেশে ফিরতে আগ্রহী।

হাজরা সাব্বির হোসেন বলেন, “আমিরাতে প্রায় ১০-১১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। এর মধ্যে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা আনুমানিক ৮ লাখ। অর্থাৎ আড়াই থেকে ৩ লাখ বাংলাদেশির অবৈধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তারা বৈধ হতে আগ্রহী হননি।”

আবুধাবি দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সেলর সাইফুল ইসলাম জানান, “সাধারণ ক্ষমার মেয়াদের সময়ের প্রতি গুরুত্ব রেখে সরকার ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি পাসপোর্ট দ্রুত সরবরাহ করেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৩৩টি ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি পাসপোর্ট এবং ৮১৭টি এক বছরের নবায়নকৃত পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়েছে।”

সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, “দুবাই কনস্যুলেট অফিস ও উত্তর আমিরাত থেকে ৩ হাজারেরও বেশি ট্রাভেল পারমিট এবং আবুধাবি দূতাবাস থেকে দেড়শ’র বেশি ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে।”

করোনাভাইরাস মহামারী পরবর্তী সময়ে আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ অবৈধ রয়ে গেছেন। ২০১২ সালের মধ্য অগাস্ট থেকে আমিরাতে চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত বাংলাদেশির অনুপ্রবেশ, ভিসা জালিয়াতিসহ নানা অপরাধ প্রবণতায় বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের জন্য সাধারণ কর্মী ভিসা বন্ধ করে দেয় আমিরাত সরকার।

আরবদের গৃহকর্মী, ব্যক্তিগত গাড়িচালক, ফ্রি জোনসহ সীমিত কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা খোলা রাখা হলেও তার সুফল বাংলাদেশিরা তেমন একটা পাননি। পরে ইনভেস্টর ভিসায় অনেকে এসেও পড়েন বিপাকে। মহামারী পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিজিট ভিসা খুলে দেওয়া হলে আদম ব্যবসায়ীদের প্রলোভনে পড়ে কিংবা ভাগ্য বদলের আশায় আড়াই থেকে তিন লাখ বাংলাদেশি আমিরাতে প্রবেশ করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ শেষ হওয়ার পথে, তবে সরকারের প্রচেষ্টার পরও অনেকেই বৈধতার পথে আসেননি বলে দূতাবাস জানিয়েছে।

সাধারণ ক্ষমার সুযোগ সবাই নিলেন না কেন?

আমিরাত সরকারের ধারণা, অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যাই বেশি। কেবল আবুধাবিতেই বিভিন্ন শিল্প এলাকা ও কৃষি খামারে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধ অবস্থায় আছেন।

অনেকের ধারণা, ভিজিট ভিসায় আমিরাতে গিয়ে অবৈধ হয়ে পড়া প্রান্তিক প্রবাসীদের সবার পক্ষে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন ভিসা লাগানো সম্ভব না হওয়া এর অন্যতম কারণ। তবে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হলে দেশজুড়ে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নেওয়া হতে পারে। এতে ধরপাকড় শুরু হলে আটককৃতদের ওপর কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছে দূতাবাস ও সরকারি সূত্রগুলো।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ