সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

আলতারাঙা মুনিয়া

নিসর্গ মহসিন

চড়ুই থেকেও ছোট্ট একটা পাখি। দেখে মনে হয় যেন আলতায় মোড়ানো। খুব যত্ন করে তাকে রং করেছে কেউ…এই পাখিটাই আলতা মুনিয়া। আজ থেকে এক যুগ আগে দিয়াবাড়ি ছিল আলতা মুনিয়াদের স্বর্গরাজ্য। সে সময় কলেজ ইউনিফর্মে বন্ধুরা মিলে একদিন ঘুরতে এসে দেখেছিলাম এই পাখির বিশাল এক ঝাঁক। আমার এর আগে কখনো ধারণা ছিল না কোলাহলপূর্ণ রাজধানীতে এমন সুন্দর পাখির দেখা পাওয়া সম্ভব।

ঘাসের বন, মধ্যে লাল আগুনে ফুলের মতো ফুটে আছে এই পাখি। এক ঘাস থেকে আরেক ঘাসে ছোটাছুটি করছে। এই সৌন্দর্য যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাই শুধু অনুধাবন করতে পারবেন। এক যুগে দিয়াবাড়ি আমূল বদলে গেল। জলাভূমিগুলো ভরাট করে হলো গগনচুম্বী দালান ও মেট্রোরেল। আর সেই ইকোসাইড নগরায়ণের রিপল ইফেক্ট হিসেবেই মুনিয়ারা একে একে বিদায় নিতে শুরু করল নিভৃতে।

লাল মুনিয়া দিয়ে শুরু হলো, এরপর একে একে সবই হারিয়ে গেল। কালেভদ্রে এক-দুই বা চারটার ছোট গ্রুপ দেখা যায়, এর বেশি নয়। বর্তমানে ঢাকার আফতাবনগর এলাকায় বছরের শরৎ–হেমন্তে লাল মুনিয়ার দেখা মেলে। বহু কষ্টে বড় বড় ক্যামেরা হাতে পাখিপ্রেমীরা ছুটে যান চিত্র ধারণের জন্য। সময় পাখিগুলোকে দেখা যায় কাশফুল মুখে ছুটোছুটি করতে, যা এদের বাসা বানানোর উপকরণ। বাসায় ৮-১০টি ডিম দেয় এরা।

ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর সময়কাল ১২-১৫ দিন। আর ছানাগুলো উড়তে শেখার সময় মাসখানেক। আফতাবনগরসহ অধিকাংশ কাশবনে আগুন দেওয়ায় এদের বাচ্চাসহ বাসা পুড়ে যায়। এ জন্য এদের শেষ চিহ্নটুকুও ধীরে ধীরে এই শহর থেকে মুছে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ