সর্বশেষ
পলাশবাড়ীতে চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালো ৩ বছরের শিশু
সাঘাটা সমাজসেবা কর্মকর্তার অনিনয়ম-দুর্নীতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও  স্বারক লিপি প্রদান
চীনা হাসপাতাল নির্মাণ দাবি সাদুল্লাপুরবাসীর
বান্ধবীকে বিয়ে করলেন নায়িকা
দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করলে তার বিরোধিতা করব, হুঁশিয়ারি চীনের 
শেরপুরে দুই’শ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
গরমে চোখ-মুখ ফোলাভাব কমাতে যা করতে পারেন
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ
পারভেজ হত্যায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ঢাবি ছাত্রদলের
‘আমার বাবার কোনো কবর নেই, চার বছর ধরে লাশের খোঁজে আছি’
আল্লামা ইকবাল, মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা
ফ্রান্সিস, যিনি বদলে দিয়েছিলেন ক্যাথলিক চার্চকে
৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট
গোপন সামরিক তথ্য শেয়ার, ফের বিতর্কের মুখে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে লিখিত প্রস্তাব চাইবে সংবিধান সংস্কার কমিশন

অনলাইন ডেস্ক

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নয়, সুপারিশমালা প্রণয়নে লিখিত প্রস্তাব চাওয়া হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ। রোববার বিকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রিয়াজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই। জনআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থান না হলে এই কমিশন হতো না। এমনকি আমরা এখানে উপস্থিতও হতে পারতাম না।

সংবিধান প্রণয়নে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন, তারা প্রত্যেকেই সংবিধান নিয়ে দীর্ঘ বছর কাজ করছেন। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গত প্রায় দুই-আড়াই বছর যাবৎ চেষ্টা করেছি সংবিধানটাকে বোঝার। সুতরাং এই কমিশনকে অভিজ্ঞতাহীন বলার কোনো সুযোগ নেই।

সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, সংসদের মেয়াদ হবে ৪ বছর। এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কি-না, এ বিষয়টি নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবিধানিক সংস্কারের ৭টি উদ্দেশ্য জানান। এসবের মধ্যে রয়েছে- দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা; ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো; রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ; রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ এবং ক্ষমতার ভারসাম্য; রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন; রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হবে সংবিধান সংস্কারের উদ্দেশ্য।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ