মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট মিশিগানের গভর্নর গ্রিচেন হুইটমার কমালা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্টের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা খুবই কল্যাণকর এবং উত্তম। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অভিবাসী ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীসহ সবার শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে। আমেরিকার অর্থনীতিতে গতি আসবে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে এবং সর্বোপরি আমেরিকার গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে। তাই সবার অস্তিত্বের প্রশ্নে কমালাকে ভোট দিন।
রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্রেট দলীয় ককাসের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ওয়ারেন শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এই সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের সমন্বয়ক ছিলেন ককাসের প্রতিষ্ঠাতা ড. নাজমুল ইসলাম শাহীন। এতে সভাপতিত্ব করেন কাকাস সহ-সভাপতি সাদেক রহমান। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি কাউসার মাসকুর।
সমাবেশে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাংবাদিকসহ মিশিগানে বসবাসরত সর্বস্তরের বাংলাদেশি যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মিশিগান বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি থাকলেও মিশিগান আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, লেবার সেক্রেটারি জুলি সুলে, গভর্নর গারলিন গিলক্রিস্ট, ম্যারিল্যান্ডের লে. গভর্নর অরূণা মিলার, বাইডেন প্রশাসনের স্মল বিজনেস ডিরেক্টর দিলওয়ার সৈয়দ, মিশিগান সেক্রেটারি অব স্টেট জসেলিন ব্যানসন, কংগ্রেস উইমেন ডেবি ডিঙ্গেল, ওয়াশিংটনের কংগ্রেস উইমেন প্রমিলা জয়পাল, জজ কার্ল মালিঙ্গা, সাবেক কংগ্রেসম্যান এন্ডি লেভিন, স্টেট সিনেটর স্টিফানি চ্যাঙ, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ ডোনাভ্যান ম্যাককেইন, শ্যারন ম্যাকডোনেল, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ প্রার্থী আয়েশা ফারুকি, ম্যাকম্ব কাউন্ট্রি ব্ল্যাক ককাস চেয়ার জ্যাকি কেলি, হ্যামট্রামিক সিটি কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান ও মুহিত মাহমুদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি-আমেরিকানরা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটদের ভোট দিয়ে আসলেও এবারের নির্বাচনে কমালা-ট্রাম্পে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে বেশির ভাগ বাংলাদেশি ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে ভোট দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সিংহভাগের ভোট ট্রাম্পের পক্ষে যাবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বাংলাদেশি মোট ভোটারের সংখ্যা হ্যামট্রামিক, ডেট্রয়েট, ওয়ারেন, স্টারলিংস হাইটস, ট্রয় সবমিলে মেট্রো ডেয়ট্রেটে প্রায় ১৫ হাজার হবে বলে অনেকেই মনে করেন। এরমধ্যে ১০ হাজার ভোট কাস্ট হলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাসের মধ্যে এই সংখ্যা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে এবারের নির্বাচনে।